শিশির গুপ্ত
উদয়পুরে কানহাইয়ালালকে হত্যার ঘটনা কার্যত জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসের কায়দায় হত্যাকাণ্ডের সামিল। তদন্তের গতিপ্রকৃতি বলছে, ঘটনায় দুই অভিযুক্তের মধ্যে অন্যতম রিয়াজ আট্টারি বহুদিন ধরে এই হত্যার ছক করছিল বলে খবর।
শুধু যে হত্যার ছক তা নয়। রিয়াজ নিজে ধীরে ধীরে ছয়টি ধারালো অস্ত্র তৈরি করতে শুরু করেছিল বলেও খবর। যেদিন নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটে যায়, সেদিন ছয়টি ধারালো অস্ত্রের মধ্যে ২ টিকে ব্যবহার করেছিল রিয়াজ ও ঘউস। পুলিশি জেরার মুখে রিয়াজ জানিয়েছে, বহু সময় থেকেই সে বহু ধারালো অস্ত্র তৈরি করত। রিয়াজের এই অস্ত্র তৈরির কাণ্ডে জড়িত হিসাবে নাম উঠে এসেছে স্থানীয় মাংসবিক্রেতা মহসিন মুরগেওয়ালার। তাকেও গ্রেফতার করে জেরা করছে এনআইএ ও পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনার আগে ছোড়া তৈরি করে তা মহসিনের কাছে রেখে আসে রিয়াজরা। আর কানহাইয়ালালের শিরোচ্ছেদ করে হত্যার ঘটনার দিন তা মহসিনের থেকে নিয়ে হত্যা করতে এগিয়ে যায় তারা। প্রসঙ্গত, নুপুর শর্মার মন্তব্যে সমর্থন করে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের পরই রিয়াজ ও ঘউস কানহাইয়ালালের শিরোচ্ছেদ করে এবং তার ভিডিয়োও প্রকাশ্যে আসে। তারপরই ঘউস মহম্মদ ও রিয়াজ আট্টারিকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, ইতিমধ্যেই করাচির দাওয়াত-এ-ইসলামির সঙ্গে ঘউস ও রিয়াজের সংযোগ দেখা গিয়েছে। ঘউস মবহুবার পাকিস্তানে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। দাওয়াত-এ-ইসলামির বহু নেতার সঙ্গে এই দুই অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, এনআইএ ও বিভিন্ন নিরাপত্তা এজেন্সি তদন্তে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে। আপাতত তদন্তে জানানর চেষ্টা হচ্ছে যে এই হত্যাকাণ্ড স্থানীয়ভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, নাকি তার নেপথ্যে রয়েছে বড়সড় কোনও ষড়যন্ত্র? উল্লেখ্য, অমরাবতীতে নুপূর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করা আরও এক ব্যক্তির একইভাবে শিরোচ্ছেদের ঘটনায় প্রশ্ন আরও জোরদার হয়েছে।