গত সপ্তাহেই এসেছিল ছাড়পত্র। সোমবার থেকে ইউনাইটেড কিংডমে শুরু হয়ে গেল অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন দান। প্রথম টিকাটি নিলেন ৮২ বছর বয়সী ব্রায়ান পিংকার, যার এই মুহূর্তে ডায়ালিসিস চলছে।
অক্সফোর্ড টিকাটি যেখানে প্রস্তুত হয়েছে তার কয়েক হাত দূরে প্রথম টিকাটি নিলেন এই বৃদ্ধ। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের প্রধান নার্স ইঞ্জেকশনটি দিলেন। এর আগে ব্রিটেনে ফাইজারের টিকাটি দেওয়া হচ্ছিল সরকারি ব্যবস্থার মাধ্যমে। এবার শুরু হল অক্সফোর্ড টিকাকরণ।
অবসরপ্রাপ্ত মেনটেনেন্স অফিসার ব্রায়ান দীর্ঘদিন ধরে যে হাসপাতালে কিডনির চিকিৎসার জন্য ডায়ালিসিস করতে আসেন, সেখানেই এদিন করোনা টিকা দিলেন তিনি।এরপর স্বাভাবিক ভাবেই খুশি স্থানীয় নাগরিক ব্রায়ান। তিনি জানান যে এই টিকাটি দেওয়ার পর মানসিকভাবে শান্তি বোধ করছেন। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে নিশ্চিন্তে ৪৮তম বিবাহবার্ষিকী তিনি পালন করতে পারবেন বলে মনে করেন ব্রায়ান। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন যে ব্রিটেনের বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে একটি বড় কৃতিত্ব অক্সফোর্ডের করোনা টিকা। করোনাকে জয় করে ব্রিটেন আবার নতুন করে এগোতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের ডিরক্টর প্রফেসর পোলার্ডও এদিন টিকাটি নিয়েছেন। তিনি বলেন এটি খুব গর্বের বিষয় যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এত খেটে যে টিকাটি তৈরী করেছে, সেটি তিনি ব্যবহার করতে পারলেন।
প্রসঙ্গত ব্রিটেনে করোনার নয়া স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়ার পর দ্রুত হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সময় অক্সফোর্ডের টিকাটি ছাড়পত্র পাওয়ায় নিশ্চিত ভাবেই ব্রিটেনের জন্য ইতিবাচক খবর কারণ এটি অপেক্ষাকৃত সস্তা ও এটিকে স্টোর করাও সোজা। প্রসঙ্গত, ভারতেও অক্সফোর্ড টিকা ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। তবে এখনও সেরাম সরকারের থেকে পার্চেজ অর্ডার পায়নি। তাই ঠিক কবে থেকে টিকাটি ভারতীয়রা দিতে পারবেন, সেটা এখনও অনিশ্চিত।