যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ইউক্রেনের বুক থেকে কীভাবে ভারতীয়দের ঘরে ফেরানো হচ্ছে ও ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের পদক্ষেপ সংক্রান্ত তথ্য জানাতে এদিন ‘কনসালটেটিভ কমিটি’র বৈঠকের আহ্বান করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আর ২১ জন সদস্যের সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিপক্ষের নেতারাও। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে শশী থারুররা। আর বৈঠকের পর নিজের টুইটে বৈঠক সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করে শশী থরুর লেখেন,'সবচেয়ে আগে আমরা ভারতীয়।'
একদিকে রুদ্ধশ্বাস যুদ্ধ পরিস্থিতি, ইউক্রেনে প্রতি মুহূর্তে বর্ষিত হচ্ছে রাশিয়ার শেল, তারই মাঝে সেখান থেকে ভারতীয়দের অক্ষতভাবে ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জে দিল্লি। এমন এক অবস্থাতে মোদী সরকার শুরু করেছে ‘অপারেশন গঙ্গা’। এদিকে, কীভাবে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বা ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান কী, তা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা ক্রমেই চড়েছি। সদ্য বিভিন্ন টুইটে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তোলেন এই ইস্যুতে। তবে সেই রাহুল গান্ধীও উপস্থিত ছিলেন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে। বৃহস্পতিবার ইউক্রেন ইস্যুতে ৬ রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন সাংসদদের উপস্থিতিতে বৈঠকের পৌরহিত্য করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জানান ইউক্রেন ইস্যুতে ভারত কীভাবে পথ এগোচ্ছে। আর বৈঠককে "অসামান্য' বলে ব্যাখ্যা করেন বিপক্ষ দলের সাংসদ শশী থারুর। বৈঠকের পর এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমার ধন্যবাদ ডক্টর এস জয়শঙ্কর ও তাঁর সহযোগীদের, এমন বস্তুনিষ্ঠ ও খোলামেলাভাবে আমাদের প্রশ্ন ও উদ্বেগের নিরিখে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার জন্য। ’ এখানেই শেষ নয়। নিজের টুইটে শশী থারুর লেখেন,' এই চেতনা নিয়েই পররাষ্ট্রনীতি চালানো উচিত।'
উল্লেখ্য, আজকের বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তাঁর মন্ত্রকের সহযোগীরা। উপস্থিত ছিলেন বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রিংলা। উল্লেখ্য, মোদী সরকারের ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়ে শশী থারুর নিজেও বহুবার মোদী সরকারের সমালোচনা করেন। তবে আজকের বৈঠকের পর শশী থারুর বলেন, ‘যখন জাতীয় স্বার্থের প্রশ্ন ওঠে, তখন আমরা সবাই আগে ভারতীয়।’ তিনি নিজের টুইটে বারবার উল্লেখ করেন যে, এদিনের বৈঠকে কীভাবে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে ইউক্রেন ইস্যু সম্পর্কে।