আমেরিকার ইতিহাসে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করল হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস। ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের তদন্তে বাধা দেওয়ার জন্য ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হয়েছে।
চলতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রাম্পেের ইমপিচমেন্ট তদন্ত শুরু করে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মূলত দুটি অভিযোগ উঠেছিল। প্রথম অভিযোগ হল. পরবর্তী ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তথা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে চাপ দিয়েছেন। দ্বিতীয় অভিযোগ হল, এনিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়েছেন ট্রাম্প। এনিয়ে চলতি সপ্তাহেই ৬৫৮ পাতার রিপোর্ট পেশ করা হয়। কেন ট্রাম্পকে ইমপিচ করা উচিত, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
এরপর গতকাল সকালে বিতর্ক শুরু হয় ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগুরু হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে। বিতর্ক শেষে ২৩০-১৯৭ ভোটে পাশ হয়ে যায় ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব। কংগ্রেসের তদন্ত বাধা দেওয়ার কারণেও ইমপিচমেন্টের প্রস্তাবও সহজে পাশ হয়ে যায়। যখন তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছিল কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ, সেই সময় মিশিগানে একটি জনসভায় ছিলেন ট্রাম্প। ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমরা যখন কর্মসংস্থান তৈরি করছি, মিশিগানের জন্য লড়াই করছি, তখন কংগ্রেসের অতি বামপন্থীদের ঘৃণা, বিদ্বেষ গ্রাস করেছে।'
এবাার ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া সেনেটে যাবে। সেখানে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোট ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের পক্ষে গেলে তবেই গদিচ্যুত হবেন ট্রাম্প। কিন্তু রিপাবলিকানদের দখলে থাকা সেনেটে সেই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তাই আপাতত ট্রাম্পের গদি সুরক্ষিত বলেই মত।