স্বামী বিবেকানন্দ বিমানবন্দর থেকে মূল অধিবেশন স্থল নয়া রায়পুরের রাজ্যোৎসব ময়দান পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার ভিআইপি রোড। রাজ্যের রাজধানী শহর জুড়ে পড়েছে বড় বড় হোডিং, কাটআউট, ফ্লেক্স। সোনিয়া, রাহুল আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সঙ্গে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। কংগ্রেস শাসিত রাজ্য। তার উপর দলের ৮৫তম প্লেনারি। চলতি বছরের শেষে বিধানসভা নির্বাচন আছে। এমন এক পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চাইলেন কংগ্রেসের রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটির প্রধান বীরাপ্পা মইলি।
আর এই জোটের ইচ্ছার কথা প্রকাশ্যে আসতেই জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ মেঘালয়ের জনসভায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সরাসরি তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছিলেন। জনতাকে তৃণমূলের ইতিহাস পাঠ দিয়েছিলেন। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া জবাব দিয়েছিলেন। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা থেকে কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন। সেখানে হঠাৎ রায়পুরের মহাসভা থেকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে জোট করার ইতিবাচক সুর শোনা গেল মইলির গলায়। এটাই নতুনত্ব।
ঠিক কী বলেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা? একুশের নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেসের শোচনীয় ফলাফলের পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে জোট চেয়েছিলেন মইলি। এবার জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বীরাপ্পা মইলি বলেন, ‘আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমার এবং কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে ইস্যুগুলি নিয়ে কথা বলে একসঙ্গে কাজ করব। আমাদের জোটের নেতৃত্ব দিতে হবে এবং সবাই যাতে একজোট হতে পারে, তার চেষ্টা করতে হবে।’ সুতরাং আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের একটা সুর বেঁধে দিলেন তিনি।
তাহলে দুই দলের দূরত্ব কীভাবে কমবে? কংগ্রেস–তৃণমূল কংগ্রেস যাতে কাছাকাছি আসতে পারে তার জন্যই এমন মলম ব্যবহার করলেন বীরাপ্পা মইলি বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘আমরা সমস্ত সমস্যার সমাধান করব এবং মমতা, নীতীশ কুমার এবং কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে কাজ করব। জোটের নেতৃত্বদানে আমাদের প্রয়োজন। আমরা একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সবাইকে যেন এক ছাতার তলায় আনা যায়। কংগ্রেস যখন শক্তিশালী হবে, তখনই আমরা নেতৃত্ব দিতে পারব। রাহুল গান্ধী আমাদের সম্পদ। আমি গত ৬০ বছর ধরে কংগ্রেস করছি। কংগ্রেসের দুর্বলতা এবং শক্তি কী তা আমরা জানি। আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’