প্রধান শিক্ষকের চেয়ারের সম্মানই আলাদা। কিন্তু সেই চেয়ারে যদি বাঁদর উঠে বসে? আজ্ঞে হ্যাঁ, বাঁদর তো আর চেয়ারের মর্ম বোঝে না। তার কাছে বসার জায়গা পেলেই হল।
ভিডিয়োটি মধ্যপ্রদেশ গোয়ালিয়রের। করোনা পরিস্থিতির পর স্কুল খোলার প্রক্রিয়া চলছে। সেই বিষয়েই আলোচনা করছিলেন প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকরা। বৈঠকের মাঝেই নিজের চেয়ার ছেড়ে একটু উঠেছিলেন প্রধান শিক্ষক। আর তাতেই বিপত্তি।
খোলা দরজা দিয়ে সোজা ঘরে প্রবেশ করে একটি ছোট্ট বাঁদর। তারপর এক লাফে উঠে পড়ে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে। বিষয়টি দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যান শিক্ষক, কর্মীরা। কিন্তু সময় থাকতেই মোবাইলে ভিডিয়ো তুলতে শুরু করেন এক কর্মী। তাঁর ক্যামেরাইতেই গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে।
দেখা যাচ্ছে চেয়ারের উপর বসে পড়ল বাঁদর বাবাজী। কিন্তু বাঁদর তো। স্থির হয়ে বসা দায়। চেয়ারের প্লাস্টিকের কভার ধরেই শুরু হল টানাটানি। এরপরেই শিক্ষকরা এগিয়ে এসে বাঁদরটিকে তাড়িয়ে দেন। বেজার মুখে আবার বাইরে পালায় বাঁদর ছানা।
দেখুন সেই ভিডিয়ো:
তবে বাঁদরের বাঁদরামি কিন্তু এই প্রথম ভাইরাল হল, এমনটা নয়। এর আগেও বাঁদরদের কান্ডকারখানা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জুন মাসেই যেমন দিল্লি মেট্রোতে সিটে বসে চুপচাপ যাত্রা করতে দেখা যায় একটি বাঁদরকে। সেই ভিডিয়োও বেশ ভাইরাল হয়েছিল।
তাই ছোটবেলায় দুষ্টুমির জন্য যদি কারও কাছে বাঁদর বলে বকা খেয়ে থাকলে মন খারাপ করবেন না। বাঁদররাও কিন্তু আজকাল অনেক উন্নতি করেছে!