সদ্য কর্ণাটকে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। দলের যুবরা সেই জয়ে এক বড় ভূমিকা পালন করেছে। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগেও দলের যুবদের বড় দায়িত্ব থাকবে। তবে তার আগে কংগ্রেসের যুবদের অন্তর্দ্বন্দ্বের হতশ্রী চেহারা প্রকাশ্যে এল। সম্প্রতি মুম্বইতে যুব কংগ্রেসের এক সভায় কর্মীরা নিজেদের মধ্যেই মারামারি শুরু করে দেন। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, যুব কংগ্রেস কর্মীরা একে অপরের দিকে চেয়া ছুড়ে মারছেন।
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র যুব কংগ্রেসের সভাপতি থেকে সরানো হয়েছে কুণাল নিতিন রাউতকে। সেই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেই বচসা মারপিঠ এবং চেয়ার ছোড়াছুড়িতে পরিণত হয়। পরিস্থিতি খুব দ্রুত খারাপ হয়ে যায়। সেই গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়। সেই ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এদিকে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি বিভি শ্রীনিবাসও। এই আবহে এই অন্তর্দ্বন্দ্বের ঘটনা কংগ্রেসের জন্য বেশ অস্বস্তিকর। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বৈঠকটি দাদারের তিলক ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল বিভি শ্রীনিবাসের। তবে এই চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনার পর সেখান থেকে তিনি চলে যান। আর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি শ্রীনিবাস।
উল্লেখ্য, শ্রীনিবাস রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কর্ণাটক নির্বাচনের আগে বেঙ্গালুরুতেই ঘাঁটি গেড়েছিলেন তিনি। সেই সময় অসম যুব কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে এসেছিল। অসমের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি অঙ্কিতা দত্তর অভিযোগ করেন যে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। পাশাপাশি অঙ্কিতা অভিযোগ করেছিলেন, অসম যুব কংগ্রেসে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁর এই অভিযোগের পর অসম পুলিশ বেঙ্গালুরুতে গিয়ে শ্রীনিবাসকে জেরা করেছিল। আর এবার মুম্বইতে শ্রীনিবাসের সামনেই যুব কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল।