মস্কোয় কি ঢুকে পড়বে ওয়াগনার গোষ্ঠী? শেষ কয়েক ঘণ্টার সেই চরম টানাপোড়েন কাটিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের নয়া ‘শত্রু’ তথা ‘ভাড়াটে’ সৈন্য গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন ঘোষণা করলেন যে মস্কোর ২০০ কিলোমিটার আগে থেকেই পিছু হটে যাচ্ছেন। কারণ দিনের শেষে তো রাশিয়ান রক্ত ঝরবে। কিন্তু সেটা তিনি চান না। তাই আপাতত পিছু হটে যাচ্ছে ওয়াগনার গোষ্ঠীর সৈনিকরা। ফিরে যাচ্ছেন ইউক্রেনের শিবিরে। তবে রাশিয়া তাঁর দাবি মেনে নিয়েছে কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানাননি প্রিগোজিন। বিষয়টি নিয়ে ক্রেমলিনের তরফেও সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
প্রিগোজিন দাবি করেছেন, তাঁরা যেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে মস্কোর দূরত্বে মাত্র ২০০ কিমি ছিল। তাঁরা যতটা অতিক্রম করে এসেছেন, তাতে ওয়াগার গোষ্ঠীর একজনেরও এক ফোঁটা রক্ত ঝরেনি। কিন্তু এখন যে মুহূর্ত আসতে চলেছে, তাতে রক্ত ঝরতে পারে। সেক্ষেত্রে ঝরতে পারে রাশিয়ানদের রক্ত। সেই 'দায়িত্ব' বুঝে নিজের বাহিনীকে পিছু হটিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান প্রিগোজিন।
শনিবার সকালের দিকে ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান প্রিগোজিন দাবি করেন, তাঁদের কবজায় আছে দক্ষিণ রাশিয়ার রস্টভ-অন-ডন। যে কথা স্বীকার করে নেন পুতিনও। সেইসঙ্গে ভারোনেসের সামরিক প্রতিষ্ঠানও দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান। তাঁর দাবি, ওয়াগনার গোষ্ঠীর ছাউনিতে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়ার সেনা। তাই প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে। যে গোষ্ঠী ইউক্রেন-সহ বিশ্বের যে কোনও রাশিয়ার হয়ে লড়াই করত ওয়াগনার গোষ্ঠী।
সেই পরিস্থিতিতে ওয়াগনার গোষ্ঠীকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে উল্লেখ করেন পুতিন। শনিবার একটি জরুরি বার্তায় পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে যাঁরা অস্ত্র তুলে দেবেন, তাঁদের শাস্তি পেতে হবে। রস্টভ-অন-ডনে যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। দেশবাসীকে রক্ষা করা হবে।’ সেইসঙ্গে কোনওমতে মাথানত করবেন না আশ্বস্ত করে পুতিন বলেন, ‘নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য কঠিনতম লড়াই করছে রাশিয়া।’ পালটা হুঁশিয়ারি দেন প্রিগোজিন। তিনি জানন, পুতিন যে কাজটা করেছেন, সেটা ভুল করেছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেশিদিন আর থাকতে পারবেন না। শীঘ্রই ক্ষমতাচ্যুত হবেন পুতিন।