রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপের সামনে এখন ঘোরতর অন্ধকার। আগামী দিনে কী হবে সেটা জানেন না তারা। কার্যত দিশাহীন অবস্থা। অভুত্থানের আশা কার্যত মাঠে মারা গিয়েছে। তবে এবার ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের জায়গায় আন্দ্রেই ত্রোশেভকে এই গ্রুপের শীর্ষ স্থানে বসানোর ও কমান্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সূত্রের খবর।
জুন মাসের শেষের দিকে রাশিয়ায় সামরিক বিদ্রোহ তৈরির চেষ্টা করেছিল ওয়াগনার গ্রুপ। কিন্তু সেই বিদ্রোহ শেষ পর্যন্ত বেশি কিছু করতে পারেনি। এরপর সেই সময় পুতিন প্রিগোঝিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলে খবর। ওয়াগনার গ্রুপের একাধিক ফাইটারের সঙ্গেও তিনি দেখা করেছিলেন। রাশিয়ার একটি নিউজ পেপারে তেমনই খবর প্রকাশিত হয়েছিল। খবর এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে।
সূত্রের খবর, সেই সময় পুতিন ওই ভাড়াটে সেনা বলে পরিচিত বাহিনীকে নানা পরামর্শ দিয়েছিলেন। এবার অস্ত্র ছেড়ে তাদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার জন্য আহ্বান করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি ত্রোশেভের নেতৃত্বে লড়াই করার কথাও শোনা গিয়েছিল সেই সময়।
এবার ফের সেই আন্দ্রেই ত্রোশেভের নামটা সামনে আসছে। কিন্তু এই ত্রোশেভ আসলে কে?
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন স্যাংশান ডকুমেন্টস সূত্রে খবর, ত্রোশেভ আসলে একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্নেল। তিনি ওয়াগনার গ্রুপ তৈরির অন্যতম স্থপতি। গ্রে হেয়ার নামেও তিনি পরিচিত। ১৯৫৩ সালের এপ্রিল মাসে লেনিনগ্রাদে জন্মেছিলেন তিনি। পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নে তার জন্ম। একটা সময় সিরিয়ায় লড়াই চালিয়েছিল এই ওয়াগনার গ্রুপ। সেই সময় ত্রোশেভ ছিলেন এই গ্রুপের প্রধান।
নথিতে উল্লেখ করা রয়েছে, আন্দ্রেই ত্রোশেভ সিরিয়াতে সেনা অপারেশনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। সেই সময় সিরিয়ার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর কাছ থেকে তিনি প্রচুর সহায়তা পেয়েছিলেন। একাধিক হাই প্রোফাইল ওয়াগনার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে তার ওঠাবসা ছিল।
সিরিয়াতে তার লড়াইয়ের কথা নথিতে উল্লেখ করা রয়েছে। সিরিয়াতে কীভাবে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচারের জাঁতাকল ঘোরাতে হবে তার ছকও তিনি কষতেন। তিনি মিলিশিয়া গ্রুপের সদস্য় ছিলেন। এমনকী সোভিয়েত আফগান যুদ্ধের সময়ও তিনি আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতেন। চেচেনের যুদ্ধেও তার অবদান ছিল। রাশিয়ার মন্ত্রকের কুইক রিয়েকশন স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডার হিসাবেও তিনি কাজ করতেন।