অনিরুদ্ধ ধর
উত্তরকাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় হাথলাঙা সেক্টরের উরি এলাকা থেকে বিপুল অস্ত্রভান্ডারের হদিশ পেল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। তবে কি যুদ্ধের জন্য মজুত করা হয়েছিল এই বিপুল অস্ত্রয তবে সুরক্ষা বাহিনী যাবতীয় ছক ভেস্তে দিয়েছে।
রবিবার কর্নেল মণীষ পুঞ্জ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, আটটি একে ৭৪ রাইফেল, ২৪টি ম্যাগজিন, ৫৬০টি তাজা রাইফেলের গুলি, ১২টি চিনা পিস্তল ও ২৪টি ম্য়াগজিন, ২২৪টি পিস্তলে তাজা কার্তুজ, ১৪টি পাকিস্তানি আর চিনের গ্রেনেড, বেলুন সহ ৮১টি পাকিস্তানি পতাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কুপওয়ারা ও বারামুল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সম্প্রতি অন্তত ১৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পাকিস্তান থেকে পরিচালিত একটি মাদক চক্রের পর্দাফাঁস করতে গিয়ে সুরক্ষা বাহিনীর হাতে নানা তথ্য চলে আসে। সেই ঘটনায় পাঁচজন পুলিশ কর্মী, একটি রাজনৈতিক কর্মী, একজন ঠিকাদার, একজন দোকানদারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর এরপরই ওই অস্ত্রভাণ্ডারের সন্ধান মিলেছে।
পুলিশের বিবৃতি অনুসারে মহম্মদ ওয়াসিম নজর নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মাদক সহ এক পোলট্রি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর ওয়াসিম একে একে তার সহযোগীদের নাম বলে দিয়েছিল। বড় একটি মাদক চক্রের সন্ধান মেলে সেই সময়। এরপরই ওই অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজ মেলে।
একেবারে অত্যাধুনিক অস্ত্রের খোঁজ। এমনকী চিন ও পাকিস্তানের তৈরি গ্রেনেডের সন্ধানও মিলেছে। তার সঙ্গেই বেলুনে পাকিস্তানের পতাকা আঁকা রয়েছে। এর জেরে ব্যাপক শোরগোল উপত্য়কায়। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গেই সেনার যৌথ অভিযানে এই বিশাল অস্ত্র ভাণ্ডারের সন্ধান মিলেছে। অস্ত্রের সঙ্গে ৫ ব্যাগ গমও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এদিকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে উপত্যকায় একেবারে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে সুরক্ষা বাহিনী। এমনকী সন্ত্রাসবাদীদের যারা অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে তাদের বিরুদ্ধেও একেবারে কড়া ব্য়বস্থা। সম্প্রতি নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনের নেতাদের অন্তত ২০টি সম্পত্তিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিছু সম্পত্তি প্রয়াত সৈয়দ আলি শাহ গিলানির নামে ছিল।
তবে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উপত্যকায়।তবে কি কাশ্মীরে বড় কোনও ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল? সেই নিরিখেইএত বিপুল অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল এলাকায়। সব দিকটাই খতিয়ে দেখছে সুরক্ষা বাহিনী। এই অস্ত্রভান্ডারের পেছনে কাদের হাত রয়েছে তা নিয়েও উঠছে বড় প্রশ্ন।