শীত সবে পড়তে শুরু করেছে। তার মধ্যেই আকাশের মুখ ভার। ফের আবহাওয়া বিগড়ে যাচ্ছে বলে খবর। আবহাওয়া বিভাগ আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। ২৯ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে এটা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে একটি প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, এটা পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে যেতে থাকবে। ২৯ নভেম্বর নাগাদ এটা দক্ষিণ পুর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর এটা উত্তরপশ্চিম দিকে এগোতে থাকবে। এরপর দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে কোন দিকে যাবে, অভিমুখ কী হবে বা কোথাও স্থলভাগে আছড়ে পড়বে কি না তানিয়ে বিশেষ কিছু বলা হয়নি। তবে ২৮ ও ২৯ অক্টোবর কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে আন্দামানে।
আবহাওয়ার দফতর জানিয়েছে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে। ১১৫.৬ থেকে ২০৪.৪ মিমি বৃষ্টি হতে পারে। ৪০-৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে বাতাস বইতে পারে। ২৮-২৯ সেপ্টেম্বর আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে দেশের অন্য প্রান্তে এই নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে কি না সেব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। তবে অনেকের মতে, বাংলায় এর প্রভাব বিশেষ পড়বে না। সেদিন আবার কলকাতায় অমিত শাহের সভা রয়েছে। কিন্তু কলকাতায় আবহাওয়ার সেভাবে কোনও অবনতি না হওয়ারই সম্ভাবনা।
তবে আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, দক্ষিণ আন্দামান সমুদ্রে ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নিকটবর্তী সমুদ্রের পরিস্থিতি কিছুটা উত্তাল হতে পারে।
এদিকে গত ১৭ ডিসেম্বর বঙ্গোপসাগরের উপর গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। বাংলাদেশ উপকূল পার করার পরে এটা দুর্বল হয়ে যায়। সেই সময় ত্রিপুরা ও মিজোরামে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই সময় ত্রিপুরা সরকার প্রচন্ড বৃষ্টির জেরে স্কুল কলেজ সব বন্ধ রাখা হয়েছিল।