ওয়েব চেক ইন নিয়ে বিমানযাত্রীরা নানা সময়ে নানা অভিযোগ তোলেন। তবে শনিবার ইন্ডিগো বিমানসংস্থা জানিয়ে দিল এই প্রসেস একেবারেই বাধ্যতামূলক নয়। তবে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ওয়েব চেক ইন করা থাকলে যাত্রীদেরই সুবিধা হয়।
ইন্ডিগো এক্স প্লাটফরমে লিখেছে, ওয়েব চেক ইন করা থাকলে বিমানযাত্রীদের আরও সুবিধা হয়। তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়। আমরা বিমানযাত্রীদের সুপারিশ করি যাতে তারা ওয়েব চেক ইন করে নেন। আগাম এটা করে নেওয়ার ব্যাপারে আমরা অনুরোধ করি। একটা ঝামেলাবিহীন বিমানযাত্রার জন্য় এটা করা যেতেই পারে।
এদিকে এই ওয়েব চেক ইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারে কাছে নানা ধরনের অভিযোগ আসছিল। এরপর ৮ নভেম্বর গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটা মিটিং ডাকা হয়েছে বলে খবর।
এদিকে কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি রোহিত কুমার সিং একটা প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, গত এক বছরে সরকারের ন্যাশানাল কনজিউমার হেল্পলাইনে অন্তত ১০,০০০ অভিযোগ এনিয়ে জমা পড়েছিল।
এদিকে এরপরই এনিয়ে নড়েচড়ে বসে সরকার। একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেন যে টিকিট ক্যানসেল করার পরেও রিফান্ডের টাকা আসতে চাইছে না। তিনি জানিয়েছেন, এই সব অভিযোগ হল হিমশৈলের চূড়ামাত্র। আগামী ৮ নভেম্বর এনিয়ে একটি মিটিং ডাকা হয়েছে। সমস্ত বিমান সংস্থাকে এনিয়ে ডাকা হয়েছে। একাধিক ট্রাভেল পোর্টাল, কনজিউমার সংস্থাকে ডাকা হয়েছে। খবর এনডিটিভি সূত্রে।
সচিব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যাত্রী টিকিটের জন্য ভাড়া দেন। কনফার্ম টিকিট হওয়ার পরে বিমানসংস্থা দেখা দরকার যাত্রীদের যাতে সব সুবিধা হয়।
প্রসঙ্গত ডোমেস্টিক ফ্লাইট ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা থেকে ৬০ মিনিট আগে পর্যন্ত ওয়েব চেক ইন হতে পারে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্য়ে এটা হতে পারে। এটা হল ওয়েব চেক ইনের ব্যবস্থা। আর এয়ারপোর্ট চেক ইন কাউন্টারের ক্ষেত্রে ডোমেস্টিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ৬০ মিনিট আগে ও আন্তর্জাতিক বিমানের ক্ষেত্রে ৭৫ মিনিট আগে হতে পারে।