১৯৯৩ সালের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় প্রমাণের অভাবে খালাস দেওয়া হয়েছে আবদুল করিম টুন্ডাকে। রাজস্থানের আজমেরের টাডা আদালত এই রায় শোনা গতকাল। তবে কে এই টুন্ডা? এই 'বোমা বিশেষজ্ঞ' আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ ছিল বলে জানা গিয়েছে। ১৯৯৩ সালের মামলায় খালাস হলেও ১৯৯৬ সালের সোনিপত বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত টুন্ডাকে আজীবন জেলেই থাকতে হবে। (আরও পড়ুন: বিনামূল্যে আধার আপডেটের সময় ফুরিয়ে এল বলে, নির্ঝঞ্ঝাটে কাজ সাড়তে জানুন এই নিয়ম)
আরও পড়ুন: আপনি কি SBI গ্রাহক? FD-তে মোটা সুদ থেকে গৃহঋণে ছাড় পাওয়ার এই 'লাস্ট চান্স'
জানা যায়, ১৯৪৩ সালের পুরনো দিল্লিতে এক ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম হয়েছিল টুন্ডার। পরে তার পরিবার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে চলে যায়। সেখানে বড় হয়ে কাঠের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ শুরু করেছিল টুন্ডা। এছাড়াও লোহা এবং কাপড়ের ব্যবসাতেও হাত পাকিয়েছিল টুন্ডা। এরপর ৪০ বছর বয়সে জিহাদে দিক্ষিত হয়ে পড়ে টুন্ডা। লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত হয় টুন্ডা। এক বোমা বিস্ফোরণে নিজের হাতও হারিয়েছিলেন টুন্ডা। তবে জানা যায়, ২০০৫ সালের পর থেকে আর হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকত না টুন্ডা। তবে লস্করের সঙ্গে সে তখন জড়িয়ে ছিল। উল্লেখ্য, টুন্ডার বিরুদ্ধে প্রথম যে মামলা আদালতে উঠেছিল, সেটি এই ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মামলা। তবে বৃহস্পতিতে এই মামলায় খালাস পেয়েছে সে। তবে ৯৩-এর মামলার পর একের পর এক অনেক বিস্ফোরণের সঙ্গে টুন্ডার যোগ থাকার কথা সামনে আসে। (আরও পড়ুন: '২৫%' চমক মুখ্যমন্ত্রীর, ডিএ-র ফারাক যতই থাক, বাড়বে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন!)
আরও পড়ুন: পানাগড়ে ৫৭০ কোটিতে তৈরি কারখানায় শুরু হল কাজ, হবে শ'য়ে শ'য়ে চাকরি
টুন্ডাকে ২০১৩ সালে ভারত-নেপাল সীমান্তের কাছ থেকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে ৩৩টি হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ২২টি বিস্ফোরণ হয় দিল্লিতেই। এছড়া পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থান মিলিয়ে আরও ১১টি হামলায় জড়ি ছিল টুন্ডা।
এর আগে ২০১৫ সালে কারোলবাগ বিস্ফোরণের মামলায় তিনটি মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছিল টুন্ডাকে। পরে ২০১৬ সালে দিল্লি পুলিশের আরও চারটি মামলা থেকে টুন্ডাকে খালাস দেওয়া হয়। এদিকে ১৯৯৭ সালের রোহতাকে জোড়া বিস্ফোরণ মামলাতেও ২০২৩ সালে খালাস করা হয় টুন্ডাকে। তবে এই সব ক্ষেত্রে প্রমাণের অভাবে খালাস পেয়েছে টুন্ডা। তবে এছাড়াও আরও একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এই জঙ্গি। এই আবহে আপাতত আজমের সেন্ট্রাল জেলে আছে টুন্ডা। ২০১৭ সালে সোনিপত বিস্ফোরণ মামলায় যাবজ্জীবনের সাজা শোনানো হয়েছিল টুন্ডাকে।