সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলিকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। নাগরিকদের সুরক্ষার ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে। এনিয়ে সরকার আরও কঠোর আইন আনতে চাইছে। শুক্রবার রাজ্য়সভায় এনিয়ে জানিয়ে দিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এদিন কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা সোশ্য়াল মিডিয়ার অপব্যবহার ও তা ব্লক করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী একথা জানান।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল পোর্টালে যে অভিযোগগুলি আসে তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির কাছে তা পাঠানো হয়। এরপর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু এটা ঠিক যে সোশ্য়াল মিডিয়া কোম্পানিগুলো যাতে আরও দায়িত্বশীল হয় সেব্যাপারে আমাদের আরও এগিয়ে আসতে হবে।
এদিকে গত ৩রা জানুয়ারি হিন্দুস্তান টাইমসে এনিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল একটি প্রাথমিক খসড়া আলোচনাপত্র মন্ত্রকের মধ্যে বিলি করা হয়েছে যেখানে সোশ্য়াল মিডিয়ার জন্য় একটি আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক আইন তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়। মূলত সোশ্য়াল মিডিয়ার ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে আরও সজাগ হওয়া, সেগুলোকে আটকানো, বাচ্চাদের ক্ষতি হয় এমন কিছু যাতে তারা দেখতে না পারে সেই ব্যবস্থাগুলোকে আরও সক্রিয় করার ব্যাপারেই আলোচনায় আগ্রহী কেন্দ্র।
মোবাইল ফোন নিয়েও উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বৈষ্ণ। মোবাইল অ্য়াপ বুল্লি বাইয়ের মাধ্যমে অন্তত ১০০জন মুসলিম মহিলার ছবি তাদের সম্মতি ছাড়াই শেয়ার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তানিয়েও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদী ও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের প্রশ্নে উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, যখনই সোশ্য়াল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে যাই তখনই বিরোধীরা বলেন আমরা বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছি। আমরা এমন দায়িত্বশীল সোশ্যাল মিডিয়ার অবস্থান চাইছি যেখানে মহিলারা সুরক্ষিত থাকবেন।