একেই বলে 'Advantage'! পরকীয়ার ঘটনা আজকাল প্রায়ই শিরোনামে থাকে। কিন্তু আমেরিকার এক ব্যক্তি ঘটালেন উলটোটা। পরকীয়া না করেই কাজ হাসিল করলেন তিনি। ঘটনার সত্যিটা সামনে আসতে চমকে গিয়েছে সে দেশের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও।
জানা গিয়েছে, বস ও স্ত্রীয়ের ফোনালাপ শুনে টাকা রোজগারের জন্য এমন কাজ করেছেন স্বামী, যার দরুণ চাকরি হারিয়েছেন স্ত্রী। ২৩ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন স্বামীই। আসল ঘটনাটা কী ঘটেছে, সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন জানিয়েছে যে এক যুবকের স্ত্রী করোনার সময় থেকেই বাড়িতে বসে কাজ করতেন, আজকের ইংরেজি ভাষায় যাকে বলে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। স্ত্রীয়ের কাজের সময় তাঁর স্বামী বাড়িতেই থাকতেন, এরপর কিছু ব্যক্তিগত ঝামেলার কারণে তিনি তাঁর স্ত্রীর কাজকর্মেও মনোযোগ দিতে শুরু করেছিলেন। এসময়ই তিনি স্ত্রী এবং তাঁর বসের ফোনালাপ শুনতে পেয়েছিলেন। এরপরেই গল্পের টুইস্ট।
- আসল ঘটনাটি কী
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মতে, বেশ কয়েক মাস ধরেই টেক্সাসের টাইলার লাউডন নামের এক ব্যক্তির স্ত্রী একটি বড় কোম্পানিতে বিপি মার্জার পদে কর্মরত ছিলেন। এদিকে, কোম্পানিটি দাবি করেছে যে তাঁরা আমেরিকা ইনকর্পোরেটেডের ট্রায়াল সেন্টারের ৭৪ শতাংশ শেয়ার কিনতে চলেছে, এ তথ্য শুধুমাত্র কোম্পানির লোকেরাই জানত। কিন্তু বাড়িতে কাজ করার সময় ওই মহিলাটি বুঝতে পারেননি যে তাঁর স্বামী তাঁর সব কথা শুনছেন। সবটা শুনে স্বামী টাইলার লাউডন নিজের যাবতীয় খরচ যেমন ব্রোকারেজ এবং ভবিষ্যতের তহবিল, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তার সমস্ত অর্থ দিয়ে ওই ট্রায়াল সেন্টারের শেয়ার কিনে ফেলেছিলেন আগেভাগেই। যার দরুণ ব্যক্তিটি প্রায় ১.৭৬ মিলিয়ন ডলার আয়ও করেছেন।
এরপর একদিন স্বামীর মনে হয়েছিল তাঁর স্ত্রীকে সবটা বলা উচিত। যেমন ভাবা তেমন কাজ। তিনি তাঁর স্ত্রীকে পুরো ঘটনাটি জানিয়ে দিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এটি বিশ্বাস ঘাতকতা বলে ম্মে হয়েছিল তাঁর। যথারীতি মহিলা বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলেন। এরপর ডিভোর্স পেপারও পাঠিয়েছেন। আমেরিকান প্রসিকিউটরদের মামলা অনুসারে, স্ত্রী সততা দেখিয়ে বিষয়টি তার বসকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বস ওই মহিলার কথায় বিশ্বাস না করে তাঁকে চাকরি থেকেই বের করে দিয়েছেন। অফিস বলছে, মহিলা ইচ্ছা করেই পুরো ঘটনাটি তাঁর স্বামীকে বলেছিলেন। যদিও এখন জানা গিয়েছে, লাউডন ট্রায়াল সেন্টারের শেয়ারের লেনদেনের অর্থ ফেরত দিতে এবং জরিমানা দিতে সম্মত হয়েছেন।