১ লাখ ২৫ হাজার বছর! ঠিক এতগুলি বছর পেরিয়ে সবচেয়ে উষ্ণ বছরের মুখোমুখি আমাদের পৃথিবী। আর ২০২৩ সালই সেই উষ্ণতম সাল। সম্প্রতি এক রিপোর্টে এমনটাই জানালেন বিজ্ঞানীরা। এখনও যদিও শেষ হয়নি ২০২৩ সাল। তবে ফেলে আসা মাসগুলির উষ্ণতার পরিসংখ্যান দেখে এই ব্যাপারে নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা।
(আরও পড়ুন: ভারতে সবচেয়ে বেশি খাবার নষ্ট করেন গৃহস্থরাই! পরিসংখ্যন চমকে ওঠার মতো)
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের বিজ্ঞানীরা বুধবার এমনটা ঘোষণা করেছেন। প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসের গড় উষ্ণতা দেখার পরেই এই ব্যাপারে নিশ্চিত হন তাঁরা । সংবাদমাধ্যমকে সিথ্রিএস-এর তরফে বলা হয়, অক্টোবরের উষ্ণতা ওই একই সময়কালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল। শিল্পবিপ্লবের আগে অর্থাৎ ১৮৫০-১৯০০ সালের মধ্যে অক্টোবরের যা গড় উষ্ণতা ছিল, তার থেকে গত মাসে ০.৪ ডিগ্রি বেশি ছিল। এই উষ্ণতার পার্থক্যকেই মারাত্মক বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। অনেকের কাছে ০.৪ ডিগ্রি নগণ্য বলে মনে হলেও আদতে জলবায়ু বিজ্ঞান তা মনে করছে না। বরং এই তফাতকে বিপদের ইঙ্গিত বলেই দেখছেন সিথ্রিএস-এর বৈজ্ঞানিকরা।
(আরও পড়ুন: মারপিট না করলেও উন্মত্ত জনতার সঙ্গে থাকলে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন-সুপ্রিম কোর্ট)
সিথ্রিএস-এর ডেপুটি ডাইরেক্টর সামান্থা বাগরেস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাঁদের দফতরে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত আবহাওয়া তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে। এর আগের বছরের তথ্যগুলি বিভিন্ন জীবাশ্ম, প্রাচীন উদ্ভিদ বা কোরাল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও আইপিসিসি থেকে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ১২৫০০০ বছরের সেই সব তথ্য বিশদে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাতেই পাওয়া গিয়েছে এই তথ্য। তবে শুধু অক্টোবর নয়। একইভাবে বিশ্বের গড় উষ্ণতা বেড়েছিল সেপ্টেম্বরেও। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের উষ্ণতা রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় বিজ্ঞানীদের কাছে। সেপ্টেম্বরের উষ্ণতা রেকর্ড গড়ার পর বিজ্ঞানীদের মধ্যে জলবায়ু বদল নিয়েও জল্পনা শুরু হয়। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা সমুদ্রের জলের তাপমাত্রাও এবার বাড়বে। যাকে ‘এল নিনো’ বলা হচ্ছে।
সামান্থা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, একনাগাড়ে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে জলবায়ুতে বদল আসছে কি না সেই নিয়ে সেপ্টেম্বর থেকেই ধন্দে ছিল। তবে এর থেকেও বড়সড় সমস্যার মুখে এখন পৃথিবী। কারণ ২০২৩ মানুষের আদিপর্ব আজকের দিন পর্যন্ত এমন রেকর্ড উষ্ণতা দেখা যায়নি।