নিজের ভাষণে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কথা উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।কিন্তু হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে যে মুসলিম গণহত্যার ডাক দেওয়া হয়েছিল, তাতে কি নেতাজি অনুমোদন দিতেন? বৃহস্পতিবার লোকসভায় এমনই প্রশ্ন তুললেন তৃৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
বৃহস্পতিবার লোকসভায় মহুয়া তোপ দেগে জানান, নিজের ভাষণে একাধিকবার নেতাজির নাম করেছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি রাষ্ট্রপতিকে মনে করিয়ে দিতে চান, নেতাজিই সেই ব্যক্তি, যিনি বলেছিলেন যে ‘সব ধর্মের প্রতি ভারত সরকারের সম্পূর্ণরূপে নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন মনোভাব থাকা উচিত।’ মহুয়া বলেন, 'নিজের ভাষণে রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা বলেন। যাঁরা ভারতের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। গুরুদেব বাহাদুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কথা বলেছেন উনি। কিন্তু এটা স্রেফ মুখেই বলেছেন। বাস্তবে অতীতের কথা মনে করলে শালীনতা, বহুত্ববাদ, (এবং) ধর্মনিরপেক্ষতার কথা ভেবে এই সরকার নিজেদের অত্যন্ত নিরাপদহীন বলে মনে করে।' সঙ্গে তিনি বলেন, 'হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে মুসলিমদের গণহত্যার যে হাড়হিম করা ডাক দেওয়া হয়েছিল, তাতে নেতাজি অনুমোদন দিতেন?'
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের বেদ নিকেতন ধামে ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হয়েছিল। ধর্ম সংসদে প্ররোচনামূলক বক্তব্য পেশ করে হিংসার ডাক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিতর্কে জড়িয়েছিলেন উপস্থিত সাধুরা। সেই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার ঝড় ওঠে। ধর্ম সংসদের নামে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন প্রাক্তন সামরিক কর্তারা।