আল কাদির ট্রাস্ট কেস থেকে সাময়িক রেহাই পেয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মিলেছে জামিন। এবার পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নিশানায় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্টের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন শেহবাজ। এরপর তিনি জানতে চান জরুরী অবস্থা কি জারি করতে হবে?
এদিকে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় দু সপ্তাহের জন্য় জামিন পেয়েছেন ইমরান খান। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ মে পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা যাবে না। এমনকী ইসলামাবাদ হাইকোর্টে তাঁর তোষাখানা মামলাতেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন শেহবাজকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থার মৃত্যুর কারণ হল এই দ্বিচারিতা। তিনি বলেন, গতকাল যখন তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি বললেন, আপনাকে দেখে ভালো লাগছে। দুর্নীতির মামলায় এটি বলেছিলেন তিনি।
শরিফ পাকিস্তানের তারিক ই ইনসাফকেও একহাত নিয়েছেন। তার মতে, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের যুদ্ধের সময়ও এই পরিস্থিতি, হিংসা তৈরি হয়নি। তবে উল্লেখ্য ওই যুদ্ধে ভারত বাংলাদেশ তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছিল।
ডনে প্রকাশিত খবর অনুসারে দেখা গিয়েছে শরিফ বলছেন, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংকটের জন্য দায়ী ইমরান খান। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের অর্থনীতি সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আগের সরকার আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করেছিল। আমরা সেটা মিটমাট করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, পাকিস্তান আদালত যে রিলিফ দিয়েছে সেটা আসলে NRO।
প্রসঙ্গত পারভেজ মুশারফ এই ন্যাশানাল রিকনসিলিয়েশন অর্ডিন্যান্স জারি করেছিলেন। এর মাধ্যমে ২০০৭ সালে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ, আমলাদের রেহাই দেওয়া হত। শেহবাজ শরিফ বলেন, এই লাডলার পক্ষে যদি দাঁড়াতে চান তবে দেশের সমস্ত জেলে বন্দি ডাকাতদেরও এবার মুক্তি দিয়ে দিন। সকলকে এবার মুক্তি দিন। দাবি শরিফের।