যুবকদের মতে 'Wife' হল চিরকালীন মাথাব্যথার আমন্ত্রণ। অথচ আগে 'Wife'-কে চিরকালীন ভালো বিনিয়োগ মনে করা হত। এমনই পর্যবেক্ষণ করল কেরল হাইকোর্ট। বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক এবং বিচারপতি সোফি থমাসের ডিভিশন বেঞ্চের মতে, বিয়ের সম্পর্কেও 'ইউজ অ্যান্ড থ্রো' সংস্কৃতির প্রভাব পড়েছে।
মামলা কী নিয়ে হয়েছিল?
LiveLaw নামে একটি পোর্টালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈবাহিক জীবনে নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে এক ব্যক্তি ডিভোর্সের আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁরা খ্রিস্টান মতে বিয়ে করেন। আপাতত তিন মেয়ের সঙ্গে সৌদি আরবে থাকেন। মামলাকারী ব্যক্তির অভিযোগ, ব্যবহারগত সমস্যা হচ্ছে স্ত্রী'র। অন্য মহিলাদের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক আছে বলে সারক্ষণ সন্দেহ করেন। যদিও পালটা স্ত্রী দাবি করেন, কখনও হিংসাত্মক আচরণ করেননি তিনি। সেই প্রেক্ষিতেই 'Wife' নিয়ে মন্তব্য করেছে বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক এবং বিচারপতি সোফি থমাসের ডিভিশন বেঞ্চ।
ওই পোর্টালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেরল হাইকোর্ট বলেছে, 'বর্তমানে যুবপ্রজন্ম মনে করে যে বিয়ে হল একটা অনিষ্টকর বিষয়। কোনওরকম দায়দায়িত্ব বা বাধ্যবধকতা ছাড়া জীবন কাটাতে যে বিষয়টি এড়ানো যেতে পারে। আগে স্ত্রী (Wife) বলতে ধারণা ছিল যে চিরকালের জন্য ভালো বিনিয়োগ। কিন্তু এখন সেই স্ত্রী'র (Wife) ধারণা পালটে গিয়েছে যুবপ্রজন্মের। তাঁরা স্ত্রী'কে (Wife) চিরকালের জন্য মাথাব্যথার আমন্ত্রণ (Worry invited For Ever) হিসেবে বিবেচনা করেন।'
যুবপ্রজন্মের বিয়ে নিয়ে আরও কয়েকটি পর্যবেক্ষণ করেছে হাইকোর্ট। ওই পোর্টালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক এবং বিচারপতি সোফি থমাসের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ‘ব্যবহার করে ফেলে দেওয়ার (ইউজ অ্যান্ড থ্রো) যে গ্রাহক সংস্কৃতি আছে, তা সম্ভবত আমাদের বিবাহিত সম্পর্কের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। লিভ-ইন সম্পর্ক বাড়ছে, যাতে যখন সম্পর্ক ভেঙে যাবে, তখন বিদায় জানানো যায়।’