1/5 সচিবালয়ের সহায়কদের সংগঠনের তরফে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের নৈতিক ভিত্তিকে দুর্বল করার জন্যই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান এভাবে সরকারি কর্মীদের আক্রমণ শানিয়েছেন। সরকারি কর্মীদের নিয়ে তাঁর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত অবিলম্বে তাঁর এই মন্তব্য প্রত্যাহার করা।
2/5 এদিকে সরকারি কর্মীদের এই সংগঠনের তরফে আরও বলা হয়, বদলি ও দমনমূলক প্রশাসনিক পদক্ষেপের বদলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার জন্য উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি নবান্নর ৬ কর্মী সহ মোট ১০ জন সরকারি কর্মচারীকে প্রত্যন্ত এলাকায় বদলি করা হয়েছে। ডিএ আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ডিএ-র দাবিতে যৌথ মঞ্চে আসার কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল সেই কর্মীদের বিরুদ্ধে।
3/5 এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চ। পাশাপাশি রাজ্যের প্রশাসন স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের প্রতিনিধিদের বক্তব্য, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ‘চোর-ডাকাত’ মন্তব্য করেন, সেটার প্রতিবাদেই আগামী মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রশাসনিক কাজকর্ম স্তব্ধ করে দেওয়া হবে।
4/5 প্রসঙ্গত, যে মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের এত ঝড়, তা মমতা করেছিলেন রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির সামনের ধরনা মঞ্চ থেকে। ২৯ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো বলেছিলেন, ‘প্রতিদিন আপনারা এখানে গিয়ে এই চাই, ওখানে গিয়ে ওই চাই করেন। চোর-ডাকাতগুলো। যে চোর-ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল। সব গিয়ে বসে আছে ওখানে, ডিএ-র ওখানে। তাঁদের কাছে আমায় জ্ঞান শুনতে হবে? জ্ঞানদাতারা, চোরেরা, ডাকাতরা, ডাকাত সর্দাররা।’
5/5 মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘উনি আমাদের চোর-ডাকাত বলেননি। তাঁর যে ভাইবোনেরা ধরনা মঞ্চে তাঁর পাশে বসে ছিলেন, তাঁদের কথাই বলতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের কাছে তিনি পরে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। বলেছেন, আপনাদের চোর-ডাকাত বলতে চাইনি। তিনি নিজেকেও নিজে চোর-ডাকাত বলেছেন।’