পশ্চিমবঙ্গে সরকারি শিক্ষকরা বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে প্রায় ১০০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় কর্মীদের সমহারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। যদিও সরকার সেই দাবিতে কর্ণপাত করছে না। এরই মাঝে অবশ্য পড়শি রাজ্যে শিক্ষকদের মুখে হাসি ফুটল সরকারের ঘোষণায়।
1/5 সরকারি শিক্ষকদের নতুন পে স্কেল কার্যকর করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছিল বিহার সরকার। এই আবহে বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যে ১.৭৮ লাখ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে, তাঁদের জন্য নতুন পে স্কেল কার্যকর করা হবে। বর্তমানে যে ৩ লাখ সরকারি শিক্ষক পঞ্চায়িত রাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের থেকে অনেকটা বেশি বেতন পাবেন বিপিএসসি-র মাধ্যমে চাকরি পাওয়া শিক্ষকরা।
2/5 এদিকে পুরনো যে পে স্কেলের সুপারিশ করা হয়েছিল, তার থেকে কম বেতন পাবেন বিপিএসসি-র মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষকরা। বর্তমানে সেরাজ্যে ৬০ হাজার সরকারি স্কুলের শিক্ষক পুরনো পে স্কেলের সুপারিশ অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন। তবে এই ক্যাডারে ২০০৬ সাল থেকেই নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে না।
3/5 নয়া সুপারিশ অনুযায়ী, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষকদের বেসিক বেতন হবে ২৫ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ডিএ, এইচআরএ, মেডিক্যাল অ্যালাওয়েন্স যুক্ত হবে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন প্রায় ৩৮ হাজার টাকা হবে। এদিকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষকদের জন্য বেসিক বেতন ২৮ হাজার টাকা হবে। তবে মোট বেতন প্রায় ৪২ হাজার টাকা হবে।
4/5 এদিকে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকদের বেসিক বেতন হবে ৩১ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ডিএ, এইচআরএ, মেডিক্যাল অ্যালাওয়েন্স যুক্ত হবে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন প্রায় ৪৬ হাজার টাকা হবে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষদের বেসিক বেতন হবে ৩২ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ডিএ, এইচআরএ, মেডিক্যাল অ্যালাওয়েন্স যুক্ত হবে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন প্রায় ৪৮ হাজার টাকা হবে।
5/5 এদিকে এই নতুন পে স্কেলের অধীনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮৫,৪৭৭ জন শিক্ষকদের নিয়োগ করা হবে। এদিকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ানোর জন্য ১৭৪৫ জন শিক্ষকদের নিয়োগ করা হবে। তাছাড়া বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৩ হাজার ১৮৬ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৭ হাজার ৬১৮ জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হবে।