সরকারি কর্মীদের মৃত্যুর পর পেনশনের অধিকার কি স্ত্রীর নাকি মৃত কর্মীর মায়ের? এই নিয়ে বড় পর্যবেক্ষণ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মীদের পেনশন নিয়ে এই বড় নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এই নিয়ে বিচারপতি কী বললেন?
1/5 কর্মরত অবস্থায় এক সরকারি কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই আবহে কর্মীর স্ত্রী সেই চাকরিতে বহল হয়েছিলেন। এদিকে স্বামীর পেনশনও পান স্ত্রী। অবশ্য এর মধ্যে তাঁকে শর্তও মানতে হয়। শাশুড়ির দেখভাল করার কথা দিয়েছিলেন মৃত সরকারি কর্মীর স্ত্রী। তবে সেই পুত্রবধুর নামেই প্রতারণার মামলা করেন শাশুড়ি।
2/5 জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর চাকরি পেয়ে নিজের বাপের হাড়িতে চলে যান সেই মহিলা। পরে দ্বিতীয় বিয়েও করেন তিনি। এদিকে স্বামীর চাকরির পাশাপাশি পেনশনেরও টাকা তুলতে থাকেন তিনি। এই আবহে তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামীর মা কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন তাঁর নামে। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই হাই কোর্ট বড় একটি পর্যবেক্ষণ করল।
3/5 এই আবহে মামলায় দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে বিচারপতি পর্যবেক্ষণ দেন, স্বামীর মৃত্যুতে সমস্ত অধিকার ও সুবিধা কেবলমাত্র স্ত্রী হতে পারে না। তা সেই সরকারি কর্মীর মায়েরও প্রাপ্য। এই আবহে বর্তমান মামলার প্রেক্ষিতে মৃত ব্যক্তির মাকেই প্রাপ্য পেনশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
4/5 জনা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন বজ্রদুলাল মণ্ডল। তিনি ২০১৪ সালে কর্মরত অবস্থাতে বজ্রাঘাতে মারা যান। তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা পাত্র মণ্ডলকে এরপর নিয়ম মোতাবেক গ্রুপ-সি কর্মীর চাকরি দেওয়া হয়। সেই সময় তিনি মেনে নিয়েছিলেন যে শাশুড়ি মাকে তিনি আর্থিকভাবে দেখাশোনা করবেন।
5/5 তবে শাশুড়ির অভিযোগ, চাকরি পাওয়ার পরেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যান কৃষ্ণা। চাকরির পাশাপাশি স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশনও পাচ্ছিলেন কৃষ্ণা। এই আবহে ২০১৫ সালের পুরনো নির্দেশ বদল করে পেনশন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের অধিকর্তা এবং গ্রুপ ইনস্যুরেন্স সংস্থাকে ওই প্রয়াত শিক্ষকের মাকে পেনশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।