বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > DA Case in SC: DA মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সব ভুল শুধরে নিল রাজ্য! আত্মবিশ্বাসী সরকারি কর্মীরা
DA Case in SC: DA মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সব ভুল শুধরে নিল রাজ্য! আত্মবিশ্বাসী সরকারি কর্মীরা Updated: 23 Nov 2022, 07:50 AM IST Ayan Das DA Case in SC: মহার্ঘ ভাতা (ডিএ বা ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স) মামলায় বড় আপডেট মিলল। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছিল, তাতে বড়সড় আপডেট আছে। ডিএ মামলা সংক্রান্ত সেই বিষয়টা জেনে নিন - 1/6 ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে রাজ্য সরকার। তাতে একাধিক ত্রুটি ছিল। সেই ত্রুটিগুলি সংশোধন করা হল। শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইট (ইংরেজি মতে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত) অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) যাবতীয় ত্রুটি সরে গিয়েছে। আপাতত সেটি 'পেন্ডিং' হিসেবে দেখাচ্ছে। স্থায়ী ডায়েরি নম্বরও দেখা হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay) 2/6 এমনিতে আগামী সপ্তাহের বুধবার (৩০ নভেম্বর) কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননা সংক্রান্ত ডিএ মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, হাইকোর্টের রায় কার্যকর করার জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করা যায় না। সেইসঙ্গে ৩০ নভেম্বর মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ) 3/6 সেইসময় (৯ নভেম্বর) রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য ছিল, হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে রাজ্য ‘ডেডলাইনের’ চাপে পড়ে গিয়েছে। কারণ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে সুপ্রিম কোর্টে স্থায়ী নম্বর পায়নি পিটিশন। সেই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার শুনানির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশনে (৩ নভেম্বর দায়ের হয়েছিল) ত্রুটি সংশোধনের জন্য আদতে ৯০ দিন থাকলেও রাজ্য যদি ৩০ নভেম্বরের আগে সেই কাজটা না করে তাহলে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলায় চাপে পড়ে যেতে পারে রাজ্য। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay) 4/6 আপাতত (সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের পিটিশনের ত্রুটি শোধরানোর পর) রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, শীর্ষ আদালতে হোক বা হাইকোর্টে শুনানি হোক - ডিএ মামলায় তাঁদেরই জয় হবে। কারণ ডিএ যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার, তা আগেই বলে দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই পরিস্থিতিতে ডিএ মামলায় যে জয় আসবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay) 5/6 উল্লেখ্য, গত ২০ মে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য সরকার। সময়সীমা শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগেই রাজ্যের তরফে সেই পিটিশন দাখিল করা হওয়ায় অনেকের অভিযোগ ছিল, স্রেফ সময় নষ্ট করতে এত দেরিতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে রাজ্য। তারইমধ্যে ২২ সেপ্টেম্বর রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বহাল রাখা হয় ২০ মে'র রায়। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ) 6/6 তারইমধ্যে হাইকোর্টের ২০ মে'র রায় মেনে বকেয়া ডিএ না দেওয়ায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে তিনটি সরকারি কর্মচারী সংগঠন। সেই মামলায় হলফনামা পেশ করে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, হাইকোর্টের রায় মেনে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে গেলে রাজ্যের উপর ভয়ঙ্কর আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। সেইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য যে ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে, সেটাও জানানো হয়। যে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩০ নভেম্বর। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)