এবছর দেশে দেরিতে ঢুকছে বর্ষা। তার প্রভাবে বহু জায়গাতেই অসহ্য গরম পড়েছে এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নাজেহাল হতে হয়েছে আম জমতাকে। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের একটি জেলাতেই ৫০ ঘণ্টার মধ্যে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তীব্র দাবদাহে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সরকার এর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
1/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলায় ১৫ এবং ১৬ জুন মোট ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তাপপ্রবাহের জেরে। মৃতদের অধিকাংশরই বয়স ৬০ বছরের বেশি বলে জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা। এই আবহে এই মৃত্যুর প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। লখনউয়ের দুই উচ্চ পদস্থ আধিকারিককে এই তদন্তের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে।
2/5 বালিয়া জেলা হাসপাতালের মুখ্য আধিকারিক দীবাকর সিংকে ইতিমধ্যই বদলি করা হয়েছ এত সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর। এর আগে তীব্র দাবদাহে এত সংখ্যক মানুষের মৃত্যু প্রসঙ্গে দীবাকর বলেছিলেন, 'এই তীব্র গরমে মানুষ অনেক সমস্যায় পড়ছেন। তাপপ্রবাহের জেরে মানুষের শরীরে থাকা অন্যান্য রোগ আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। রক্তচাপ বাড়ছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।'
3/5 বালিয়া জেলা হাসপাতালের তথ্য বলছে, ১৫ জুন তীব্র দাবদাহের কারণে ভরতি হওয়া ২৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর ১৬ জুন বিকেল পর্যন্ত আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়। পরে শুক্রবার তীব্র তাপপ্রবাহের বলি হন আরও ১০ জন। মোট ৫০ ঘণ্টার মধ্যে দাবদাহের জেরে ৪৪ জনের মৃত্যু হয় বালিয়া জেলায়।
4/5 তবে বালিয়া জেলা হাসপাতালের অপসারিত মুখ্য আধিকারিক হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে এর আগে দাবি করেছিলেন, এই ৪৪ জনের মধ্যে কারও মৃত্যুই হিটস্ট্রোকের কারণে হয়নি। তিনি বলেছিলেন, 'যাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তাদের মধ্যে অধিকাংশই বলেন যে অস্থির লাগছে। এদিকে অনেকেরই আবার জ্বর ছিল। এই রোগীদের শরীরে থাকা ব্যধির কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।'
5/5 এর আগে গতকাল, শনিবার উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। সেই জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গত কয়েকদিন ধরেই। গতকাল সেই জেলার বাতালে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল মাত্র ২৫ শতাংশ। এই শুষ্কতার কারণে আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে মানুষজনের। এদিকে, আজ রবিবারও বালিয়া জেলার সর্বোচ্চ তপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।