২৩ বছর পর ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। আইএসএল জিতে মরশুম শেষ করেছিল তারা। এবার ডুরান্ড দিয়ে শুরু। একটা সময় ডুরান্ডের শেষ আটে ওঠা অনিশ্চিত ছিল বাগানের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারাই বাজিমাত করল। তবে দশ জনে হয়ে যাওয়ার পরেও কোন স্ট্র্যাটেজিতে ইস্টবেঙ্গলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জয় ছিনিয়ে নিল বাগান?
1/5 লালকার্ড দেখার পরেও আক্রমণ থেকে সরে আসেনি মোহনবাগান। ৬৮ মিনিটে তিনটি পরিবর্তন করেন জুয়ান ফেরান্দো। তিনি নামান লিস্টন কোলাসো, গ্লেন মার্টিন্স এবং জেসন কামিন্সকে। এটাই হয়ে যায় ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এর পরেই কিন্তু গোল আসে।
2/5 ইস্টবেঙ্গল যে সুযোগ পায়নি বা তৈরি করেনি এমনটা নয়। কিন্তু সেভাবে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। আগেই যদি ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যেতে পারত, তবে হয়তো মোহনবাগানই চাপে পড়ত। কারণ যারা আগে গোল করবে, তারাই জিতবে, এমন একটা চাপের পরিস্থিতি ছিল। কারণ আগে গোল পাবে যে দল, তারা মুক্ত মনে খেলবে, আর বিপরীত দল কোণঠাঁসা হবে। যেমন ঘটেছে ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে। দশ জনের মোহনবাগান গোল করার পরেও, তারা এতটাই চাপে পড়ে যায়, আর সেটা কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
3/5 মোহনবাগান ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরে হয়তো আত্মতুষ্ট হয়ে পড়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। যে কারণে কিছুটা গা-ছাড়া মনোভাবও এসেছিল। যার খেসারত গোল খেয়ে দিতে হয়েছে।
5/5 মোহনবাগান গোল করার পর স্বাভাবিক ভাবেই সেই গোল ধরে রাখতে তারা পুরো ডিফেন্সিভ হয়ে পড়ে। বিদেশি ব্রেন্ডন হ্যামিলকে নামিয়ে দেন তিনি। বাগানের সব ফুটবলার নেমে আসেন রক্ষণ সামলাতে। বুটের জালে জড়িয়ে লাল-হলুদ আর গোলের মুখ খুলতে পারেনি। দশ জনের মোহনবাগান একেবারে সঠিক স্ট্র্যাটেজিতেই এগিয়েছে।