ডিএ-র দাবিতে আগামিকাল, ১৮ মার্চ থেকে ‘ডিজিটাল অসহযোগিতা’-র পথে হাঁটতে চলেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। এই আবহে সরকারি কাজে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডিএ নিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকতেই এই নতুন পন্থায় প্রতিবাদের পথে হাঁটার ঘোষণা করেছিল সরকারি কর্মীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
1/5এই ডিজিটাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক এবং সরকারি কর্মীরা বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর ব্যক্তিগত ফোনে সরকারি কাজ করবেন না। সরকারের হোয়াটসঅ্যার গ্রুপও ছাড়বেন বলে জানা গিয়েছে। 'অফিস টাইম' শেষ হলে ফোনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ শুনবেন না বলে হুঁশিয়ারি ডিএ আন্দোলনকারীদের। (Sudipta Banerjee)
2/5সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টে ৩০ মিনিট পর্যন্ত কাজের সময়। এই আবহে অফিসের বাইরে অনলাইন মিটিং করবেন না জানিয়েছেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা। ডিএ আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট বক্তব্য, ব্যক্তিগত ফোন, কম্পিউটার, ডেটা ব্যবহার করে অফিসের কোনও কাজ করবেন না। (Sudipta Banerjee)
3/5যদিও সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের এই পদক্ষেপের ফলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনও প্রভাব পড়বে না। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, অফিস টাইম শেষ হয়ে গেলেও পরীক্ষা শেষে খাতা স্কুল থেকে পাঠিয়ে দেওয়ার কাজ করবেন শিক্ষকরা। (Sudipta Banerjee)
4/5এদিকে ডিএ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিস থেকে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে রাজ্য সরকারের তরফে। তবে সেই পদক্ষেপের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সার্ভিস রুলেই বলা আছে, তাঁদের ‘রাইট টু স্ট্রাইক’ বা 'ধর্মঘটের অধিকার' আছে। (Sudipta Banerjee)
5/5ধর্মঘটে অংশ নেওয়া কর্মীদের উদ্দেশে সরকারের বিভিন্ন দফতরের তরফে শোকজ নোটিশ জারি করা হয়েছে বিগত কয়েক দিনে। নোটিশে বলা হয়েছে, গত ১০ মার্চ তাঁরা কেন অফিসে আসেননি, তার সন্তোষজনক জবাব না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে। জবাব সন্তোষজনক না হলে এক দিনের বেতন কাটা যাবে। পাশাপাশি কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ পড়বে। পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধায় সামান্য প্রভাব পড়তে পারে এর জেরে। (Sudipta Banerjee)