এই মেসেজগুলি নিয়েই নিমেষে হ্যাক হচ্ছে ফোন, লোপাট হচ্ছে অ্যাকাউন্টের টাকা! রইল জরুরি তথ্য।
1/6 আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কীভাবে স্মার্টফোন হ্যাক করে টাকা পয়সা লোপাট করছে অপরাধীরা, তা নিয়ে, ম্যাকফি সদ্য একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই সমীক্ষায় ৭ দেশের মধ্যে ছিল ভারতও। ম্যাকফির এই সমীক্ষায় এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স দিয়ে হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি হ্যাকাররা ব্যবহার করছে, তাও উঠে এসেছে।
2/6 ওই সমীক্ষা বলছে, প্রতিদিন ভারতীয়রা ১২ টি করে ভুয়ো মেসেজ বা স্ক্যাম পান। সপ্তাহে ভারতীয়রা ১.৮ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করেন সেই মেসেজগুলিকে চিহ্নিত করতে। সমীক্ষা বলছে, ৮২ শতাংশ ভারতীয় এই ভুয়ো মেসেজের ফাঁদে পড়ে যান। তবে কোন ধরণের ভুয়ো মেসেজ থেকে এই টাকা লোপাটের প্রতারণা চলে, তাও তুলে ধরেছে সমীক্ষা।
3/6 সমীক্ষা বলছে, 'জব নোটিফিকেশন' বা চাকরি সংক্রান্ত তথ্যের হদিশ দিয়ে যে মেসেজগুলি থাকে তা ৬৪ শতাংশ হ্যাকিংয়ের জন্য সহজ ফাঁদ। এছাড়াও ৫২ শতাংশ হ্যাকিং 'ব্যাঙ্ক অ্যালার্ট' বা ব্যাঙ্ক থেকে আসা মেসেজের হাত ধরে ঘটে যায়। সমীক্ষা এও জানাচ্ছে যে, ৬০ শতাংশ মানুষের কাছে এই প্রতারণামূলক মেসেজ বুঝে ওঠাটা শক্ত, কারণ অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে এআই। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay)
4/6 আরও ভয়ানক বিষয় এই যে, ৪৯ শতাংশ মানুষ বলছেন, প্রতারণার জন্য পাঠানো এআই মেসেজগুলি একেবারে নির্ভুলভাবে আসছে। ফলে সেগুলি আসল না প্রতারণার মেসেজ, তা বোঝাই দায়। সেখানে এমন সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া হচ্ছে, যাতে বোঝাই যাচ্ছে না যে, মেসেজগুলিতে কোনও ভুয়ো কিছু থাকতে পারে।
6/6 সমীক্ষার তথ্য বলছে, বারতে ৯০ শতাংশ মানুষ ভুয়ো মেসেজ ইমেল বা এসএমএস-এ পান। ৮৪ শতাংশ নাগরিক সোশ্যাল মিডিয়ায় পান ভুয়ো মেসেজ। ৮২ শতাংশ মানুষ ভুয়ো মেসেজে ক্লিক করে প্রতারণার শিকার হন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)