বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Indian Diplomat Photo Shoot as Apsara: আমেরিকায় জড়িয়েছিলেন চরম বিতর্কে, সেই ভারতীয় কূটনীতিক এবার 'খমের অপ্সরা' রূপে
Indian Diplomat Photo Shoot as Apsara: আমেরিকায় জড়িয়েছিলেন চরম বিতর্কে, সেই ভারতীয় কূটনীতিক এবার 'খমের অপ্সরা' রূপে Updated: 14 Apr 2024, 12:36 PM IST Abhijit Chowdhury বাংলার নববর্ষের মতোই আজ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার কম্বোডিয়াতেও নতুন বছরের শুরু। সেই উপলক্ষে কম্বোডিয়ার ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে সে দেশের নাগরিকদের অভিনব কায়দয় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো হল। কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নিজে 'খমের অপ্সরা' রূপে সেজে ফটোশুট করলেন। 1/6 'খমের অপ্সরা' রূপে সেজে ফটোশুট করে কম্বোডিয়াবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দেবযানি খোবরাগড়ে। দেবযানির সেই ছবি ভারতীয় দূতাবাসের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, খমের সংস্কৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে রাষ্ট্রদূত দেবযানি খোবরাগড়ের। 2/6 কম্বোডিয়ায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আরও লেখা হয়, 'খমের নববর্ষের চেতনার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে রাষ্ট্রদূত দেবযানি খোবরাগড়ে খমের অপ্সরার রূপে সেজেছেন। এই মুহূর্তের মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের সভ্যতার সমৃদ্ধ বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তুলেছেন তিনি। আমাদের সকল কম্বোডিয়ান বন্ধুদের আনন্দদায়ক খমের নববর্ষ উদযাপনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।' 3/6 উল্লেখ্য, কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দেবযানিকে ঘিরেই প্রায় এক দশক আগে মার্কিন মুলুকে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে গিয়েছিল, যেখানে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত তৈরি হয়েছিল। ভারতের থেকে একজন মার্কিন কূটনীতিককে সরাতে হয়েছিল ওয়াশিংটনকে। 4/6 কিন্তু ঠিক কী কারণে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন দেবযানি? ভিসা জালিয়াতি এবং মার্তিন অ্যাটর্নির কাছে মিথ্যা বলার অভিযোগে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আমেরিকায় গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবযানি। সেই সময় দেবযানির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি তাঁর পরিচারিকাকে ন্যূনতম মজুরিরও কম টাকা দিচ্ছেন। এদিকে ২০১৪ সালে দেবযানিকে 'স্ট্রিপ সার্চ' করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। 5/6 যদিও দেবযানি সেই সব অভিযোগ 'ভিত্তিহীন' বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরে তাঁর 'ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি' থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ হয় মার্কিন আদালতে। সেই সময় দিল্লির কাছে ওয়াশিংটনের দাবি ছিল যাতে দেবযানির 'ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি' প্রত্যাহার করা হয়। তবে দিল্লি তা করেনি। পরে দেবযানি আমেরিকা থেকে দিল্লি চলে এসেছিলেন। পরে ভারত বেশ কয়েকজন মার্কিন কূটনীতিকের ডিপ্লোম্যাটিক স্ট্যাটাস কমিয়ে দিয়েছিল সেই সময়। একজনকে দেশ ছাড়তেও বলা হয়েছিল। 6/6 এদিকে শিক্ষাগত যোগ্যতায় চিকিৎসক দেবযানি ১৯৯৯ সালে ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১০ সালের এক মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, দেবযানি মহারাষ্ট্রের এক প্রভাবশালী আইএএস হওয়ায় তাঁর মেয়েকে প্রশিক্ষণের সময় 'সহজ' বিদেশি ভাষা শেখার বিকল্প দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও দেবযানির দুই সন্তানের কাছে ভারত ও মার্কিন পাসপোর্ট ছিল। যা নিয়েও বেশ বিতর্ক হয়েছিল। তিনি নিজের সন্তাবদের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদনও জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের কাছে। তবে তা খারিজ হয়েছিল।