1/8 অবিভক্ত ভারতে তাঁর জন্ম পাকিস্তানের করাচিতে। ভারতের রাজনীতির আঙিনায় তিনি লৌহপুরুষ হিসাবে খ্যাতি পেয়েছেন। হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির অন্যতম মুখ তিনি। সেই লালকৃষ্ণ আদবানি এবার পেতে চলেছেন ভারতরত্ন। শনিবারই এই ঘোষণা করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৯৬ এর লালকৃষ্ণ আদবানি, দেশের রাজনীতিতে একের পর এক মাইলস্টোন পেরিয়েছেন। এসেছে বহু বিতর্কও। একনজরে সেই রাজনৈতিক সফরে তাঁর প্রাপ্তির ঝুলি দেখে নেওয়া যাক। (ANI Photo)
2/8 জন্ম ও রাজনৈতিক জীবনের শুরু- ব্রিটিশ শাসনের ভারতে ১৯২৭ সালে করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন লালকৃষ্ণ আদবানি। এরপর শিক্ষা করাচির সেন্ট প্যাট্রিক স্কুলে।পরবরর্তীকালে দেশভাগের সময় তিনি পরিবারের সঙ্গে আসেন ভারতে। তৎকালীন বম্বেতে এসে পরিবারের সঙ্গে শুরু হয় লালকৃষ্ণ আদবানির বসবাস। এরপর আরএসএস-এ যোগদান। ধীরে ধীরে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির দিকে ঝুঁকতে থাকেন তিনি। ১৪ বছর বয়সে তিনি আরএসএস এর প্রচারক হয়ে রাজস্থানে কর্মরত ছিলেন। (ANI Photo)
3/8 এরপর তাঁর রাজনৈতিক জীবন পেরিয়েছে বহু মাইলস্টোন। ১৯৭০ সালে হয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ। ১৯৭৩ সালে জনসংঘের প্রেসিডেন্ট পদে বসেন। পরবর্তীকালে জনসংঘ জনতা পার্টির সঙ্গে মিশে যায়। সময়ের সিঁড়ি বেয়ে লালকৃষ্ণ আডবানি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তার আগে থেকেই নানান ইস্যুকে কেন্দ্র করে জনতা পার্টির তাবড় নেতাদের একজন হয়ে ওঠেন তিনি। রামমন্দির আন্দোলন, রথযাত্রা ঘিরে তাঁর নাম ক্রমেই জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে ঘোরাফেরা করে। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে ভারতীয় রাজনীতির এই লৌহপুরুষ ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী। রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বছর ২০২৪ এই এবার লালকৃষ্ণ আডবানি পাচ্ছেন ভারত রত্ন। তাঁর রাজনৈতিক সফরে রাখা যাক চোখ। (PTI Photo) (PTI01_19_2024_000491B)
4/8 সাংসদ ও বিজেএস প্রেসিডেন্ট- ১৯৭০ সালে দিল্লি থেকে রাজ্যসভার সদস্য হন লালকৃষ্ণ আডবানি। ১৯৭৩ সালে তিনি বিজেএস বা ভারতীয় জনসংঘ(যার প্রতিষ্ঠাতা শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়) এর প্রেসিডেন্ট হন। পার্টির কানপুরের সভা থেকে তিনি নির্বাচিত হন। ১৯৭৬ সালে তিনি দ্বিতীয়বার রাজ্যসভার সদস্য হন গুজরাট থেকে। সেই আমলে দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা ঘিরে নানান রাজনৈতিক দোলাচল চলতে থাকে। (ANI Photo)
5/8 কেন্দ্রীয় মন্ত্রী- এরপর জনতা পার্টির সঙ্গ ছেড়ে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে মিলে তিনি বিজেপির ভিত্তিপ্রস্তর গাঁথতে থাকেন। ১৯৮৪ এর ভোটে বিজেপি কেবলমাত্র ২ টি আসন জিতে ছিল। তখন আডবানি মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সদস্য। এদিকে, ভোটের এই খারাপ ফলের পরই বিজেপির স্টান্স পরিবর্তন হতে থাকে। আসে অযোধ্যা পর্ব। . (ANI Photo)
6/8 অযোধ্যা রামমন্দির আন্দোলন- ১৯৯০ সালে আডবানি শুরু করেন রামরথযাত্রা। সেই রথযাত্রায় তিনি অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে সমর্থকদের জড়ো করতে থাকেন। গুজরাটের সোমনাথ মন্দির থেকে সেই রথের পথ চলা শুরু করে, তা অযোধ্যার দিকে যাচ্ছিল। এরপর ১৯৯১ সালে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্টি হয় বিজেপি। (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই)
7/8 কেন্দ্রীয় মন্ত্রী- মোরারজি দেশাই সরকারের আমলে লালকৃষ্ণ আডবানি হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। ১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি আসে ক্ষমতায়। অটলবিহারী বাজপেয়ী হন প্রধানমন্ত্রী। আডবানি সেবারও রাজ্যসভা থেকে নির্বাচিত হন। তিনি সেবার দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন। পরে ২০০২ সালে অটল সরকারে তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী হন। ২০০৪ সালের ভোটে বিজেপি পরাজিত হয়। লালকৃষ্ণ আডবানি নির্বাচিত হন বিরোধী দলনেতা। (ছবি সৌজন্যে এএআই)
8/8 বিতর্ক ও প্রাপ্তি- তাঁর দীর্ঘ রাজনীতির সফরে লালকৃষ্ণ আডবানি নানান মাইলস্টোন পেরিয়েছেন। তবে তাঁর রামরথযাত্রা ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে ছিল। বাবরি মসজিদ ধ্বংস ঘিরে আডবানির ভাষণকে উস্কানিমূলক বলে অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল এককালে। পরবর্তী সময়ে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি ও বিজেপির রাজনৈতিক পরিসরের হাত ধরে তিনি শিরোনাম কেড়েছেন। এবার ২০২৪ সালে রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বছরে আডবানি পেতে চলেছেন ভারতরত্ন। ছবি : পিটিআই