চিকিৎসায় গাফিলতির ক্ষেত্রে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে এবার থেকে চিকিৎসকরা আইনি রক্ষাকবচ পাবেন বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উল্লেখ্য, গতকালই লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়েছে দণ্ডবিধি সংক্রান্ত তিনটি বিল। নয়া বিলেই চিকিৎসকদের জন্য আইনি কবচের বিধান আছে বলে জানান শাহ।
1/5 চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যু ভারতে নতুন কিছু নয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের গাফিলতি না থাকলেও সেই অভিযোগ তোলা হয়। হেনস্থা করা হয় চিকিৎসককে। ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালে। মারধর করা হয় অভিযুক্ত চিকিৎসককে। এমনকী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ফৌজদারী ধারাতেই মামলা হয়। তবে এবার নয়া ন্যায় সংহিতায় এই সব ক্ষেত্রে আইনি রক্ষাকবচ পাবেন চিকিৎসকরা। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
2/5 এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, 'বর্তমানে, যদি চিকিৎসার গাফিলতিতে কোনও রোগীর মৃত্যু হয়, তার বিচার অপরাধমূলক বিধানেই হয়ে থাকে। যাতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রায় খুনের ধারাই প্রযোজ্য হয়। এই সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের অপরাধমূলক বিধান থেকে মুক্তি দিতে সরকারি ভাবে সংশোধনী বিল পেশ করা হবে। এই নিয়ে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন আমার কাছে আবেদন জানিয়েছিল।'
3/5 উল্লেখ্য, বর্তমানে রোগী মৃত্যুর ক্ষেত্রে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪এ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এই ধারায় বলা হয়েছে, 'কোনও রোগীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুলের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের ওপর নরহত্যার দায় চাপবে। এই আবহে চিকিৎসকের দুই বছরের জেল বা জরিমানা কিংবা উভয়ই হতে পারে।'
4/5 তবে নয়া আইনে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধ অপরাধমূলক বিধানে মামলা করা হবে না। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৬এ-তে বলা হয়েছে, রোগীর ভালোর জন্য যদি কোনও চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করেন, কিন্তু রোগীর মৃত্যু হয়, সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কোনও দোষ গণ্য হবে না।
5/5 এর আগে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে দাবি জানিয়েছিলেন, চিকিৎসকদের যেন অপরাধমূলক বিধানের থেকে নিস্তার দেওয়া হয়। এই আবহে নয়া আইনে চিকিৎসকদের এই আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে। আর সেটাকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের চিকিৎসক মহল।