গত ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সির নয়া নীতি। আর এর জেরে ফ্রিজের দাম একলাফে প্রায় পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোদরেজ, হায়ার, প্যানাসোনিকের মতো সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মডেলের ওপর ভিত্তি করে ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়তে পারে ফ্রিজের।
1/5নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ফ্রিজের লেবেলিং নিয়ে কড়াকড়ি বাড়ছে। বিদ্যুৎ খরচের পাশাপাশি এবার থেকে ফ্রিজের আয়তন এবং ধারণ ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করেও স্টার লেবেলিং করতে হবে। এদিকে ফ্রস্ট ফ্রি মডেল কি না, তা আলাদা করে উল্লেখ করতে হবে। এর প্রেক্ষিতে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে গোদরেজের বিজনেস হেড তথা এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কমল নন্দি বলেন, 'এখন থেকে আমাদের দুটো বিষয়ের ওপরই লেবেল করতে হবে। এটা একটা বড় পরিবর্তন।'
2/5দাম বৃদ্ধির বিষয়ে গোদরেজ কর্তা কমল নন্দি বলেন, 'প্রতিটি শক্তি সঞ্চয়ী ফ্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি খরচ হয়ে থাকে। বিদ্যুতের খরচ কমাতে ভালো মানের ইনসুলেশন ব্যবহার করতে হয়। এর ফলে ২ থেকে ৩ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পায় সেই ফ্রিজের। মডেল এবং স্টার রেটিংয়ের ওপর তা নির্ভর করবে।'
3/5এদিকে গোদরেজ কর্তা কমল নন্দি আরও বলেন, 'এবার থেকে স্টার রেটিং দেওয়ার ক্ষেত্রে ফ্রিজের গ্রস ক্যাপাসিটি উল্লেখ করলে চলবে না। ফ্রিজের নেট ক্যাপাসিটি উল্লেখ করতে হবে।' উল্লেখ্য, 'নেট ক্যাপাসিটি' হল কোনও ফ্রিজের ধারণ ক্ষমতা। এটিকে লিটারের পরিমাপে মাপা হয়। এর আগে ফ্রিজের আয়তনের ওপর 'গ্রস ক্যাপাসিটি' উল্লেখ করা থাকত ফ্রিজে। তবে এবার থেকে তা হবে না। উদাহরণস্বরূপ, ফ্রিজের ওপরের এবং নীচের কম্পার্টমেন্টের মধ্যে যে অংশটি রয়েছে বা যে 'ছাদ' রয়েছে, তা তো ব্যবহারযোগ্য নয়, তাহলে এবার থেকে নেট ক্যাপাসিটিতে সেই অংশটা বাদ দিয়ে লিখতে হবে সংস্থাকে। এর ফলে অবশ্য গ্রাহকরা উপকৃত হবেন।
4/5এদিকে বিইই-র নীতি বদল প্রসঙ্গে হায়ার অ্যাপ্লায়েন্সেসের প্রেসিডেন্ট এনএস সতীশ বলেন, 'নয়া নীতির ফলে অনেক ফ্রিজের কমপ্রেসর বদল করতে হবে। এর ফলে নিশ্চিত ভাবে ২ থেকে ৪ শতাংশ দাম বাড়বে ফ্রিজের।' এদিকে প্যানাসনিক ইন্ডিয়ার এমডি ফুমিয়াসু ফুজিমোরি বলেন, 'বিইই-র সংশোধিত বিধির ফলে ফ্রিজের দাম প্রায় পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।'
5/5রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটস-এর এক রিপোর্ট অনুযয়ী, ২০২২ সালে ভারতের ফ্রিজের বাজারের মূল্য ছিল ৩.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৮ সালের মধ্যে এই পণ্যের বাজারমূল্য বেড়ে ৫.৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে। তবে বিইই-র নয়া বিধির ফলে ফ্রিজের দাম বৃদ্ধি পেলে 'প্রথমবারের ক্রেতারা' সমস্যায় পড়তে পারেন বলে মত অনেক বিশেষজ্ঞর।