সল্টলেকে বেআইনি নির্মাণ ইস্যুতে কলকাতা হাই কোর্ট কড়া ভাষায় নিজের পর্যবেক্ষণ পেশ করেছিল। সেই তিরস্কার হজম করে এবার কড়া পদক্ষেপের পথে বিধাননগর পুরসভা। এর জন্য প্রোমোটারদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এদিকে এই নির্দেশের জেরে সমস্যায় পড়তে হবে আম জনতাকে।
1/5 বিধাননগর পুরসভার তরফে প্রোমোটারদের নোটিশ পাঠিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেসব বহুতল বেআইনি গড়ে তোলা হয়েছে, তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খালি করাতে হবে এবং ভেঙে দিতে হবে। পুরসভার তরফে আরও জানানো হয়েছে, যদি সময় মতো প্রোমোটাররা নিজেরা এই কাজ না করেন, তাহলে পুরসভাই সেসব বাড়ি ভেঙে দেবে।
2/5 এদিকে পুরসভার নির্দেশ অনুযায়ী এই সব বাড়ি খালি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন প্রোমোটাররাও। কারণ যারা এই সব বহুতলে ফ্ল্যাট কিনেছেন, তারা আইনি লড়াইতে নামতে পারে প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে। কয়েক লাখ টাকা দিয়ে কেনা ফ্ল্যাট এমনিতে কেউই খালি করে দেবে না। এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত সল্টলেকের বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে আদৌ কোনও পদক্ষেপ করা যাবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
3/5 উল্লেখ্য, সল্টলেকে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা জায়ের করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে। সেই সময় জানা যায়, বিগত কয়েক বছরে বিধাননগর পুর এলাকায় ৩৫৫টি বেআইনি বহুতল তৈরি হয়েছে। এই আবহে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুরসভা। সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়, বেআইনি বহুতলের বিরুদ্ধে বিধাননগর পুরসভা কী পদক্ষেপ করেছে।
4/5 সল্টলেকে গড়ে ওঠা বেআইনি বহুতল সংক্রান্ত যে তথ্য রাজ্য সরকার আদালতে পেশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, বিধাননগর পুর এলাকায় মোট বেআইনি বাড়ির সংখ্যা ৩৫৫। এর মধ্যে ১১৩টি বিল্ডিং চারতলা। তাছাড়া ৭৫টি বিল্ডিং পাঁচতলা। তেতলা ভবনের সংখ্যা ৬৬। এছাড়া বেআইনি ভাবে ৪টি ছ’তলা বহুতল গড়ে উঠেছে।
5/5 এদিকে এই সমস্যার মাঝেই আগামীতে যাতে ক্রেতারা বেআইনি ভবনে ফ্ল্যাট কিনে হেনস্থার শিকার না হন, তার জন্য পদক্ষেপ করেছে পুরসভা। বিধাননগর পুর এলাকায় প্রোমোটারের দেওয়া নকশার ভিত্তিতে আর ঋণ দেওয়া হবে না। ঋণের জন্য যিনি আবেদন করেছেন, তার কাছে পুরসভার শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই মর্মে মোট ২৪টি ব্যাঙ্ককে চিঠি দিয়েছে বিধাননগর পুরসভা।