দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে আন্তর্জাতিক সিরিজ জয় যে কোনও দেশের কাছেই বিশেষ কৃতিত্বের। তার উপর প্রতিপক্ষকে তাদের ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে সেটা বাড়তি পাওনা হিসেবে বিবেচিত হওয়াই স্বাভাবিক। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ থেকে ভারত কী কী পেল, দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
1/5 সিরিজের সেরা প্রাপ্তি শুভমন গিলের ধারাবাহিকতা। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই গিল ভারতীয় দলকে নির্ভরতা দিচ্ছেন। আসলে শুভমন জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজে বুঝিয়ে দিলেন যে, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে বিশেষ মাথা ব্যাথা নেই তাঁর। প্রথম ম্যাচে ওপেনার হিসেবে অপরাজিত ৮২ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে যথাক্রমে ৩৩ ও ১৩০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পরপর ২টি ওয়ান ডে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতলেন গিল।
2/5 চোট সারিয়ে দীর্ঘদিন পরে দলে ফেরা দীপক চাহার নিজের পারফর্ম্যান্স দিয়ে যেমন দলকে আশ্বস্ত করতে পেরেছেন, ঠিক তেমনই নিজেও চেনা ছন্দের কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছেন। ২ ম্যাচে ৫টি উইকেট নিয়ে চাহার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে পেরেছেন সন্দেহ নেই।
3/5 ফর্ম্যাট যাই হোক না কেন, অক্ষর প্যাটেল যে ভারতীয় দলে নিজেকে অপিরহার্য করে তুলছেন, সেটা আরও একবার বোঝা যায় জিম্বাবোয়ে সফরে। ৩ ম্যাচে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি ৬টি উইকেট নিয়েছেন অক্ষর। তাঁর ব্যাটের হাতটাও মন্দ নয়। জাদেজার মতোই দুর্দান্ত অল-রাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিদিনই পরিণত করে চলেছেন প্যাটেল।
4/5 সীমিত ওভারের ক্রিকেটে চায়নাম্যান কুলদীপ অত্যন্ত কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারেন। এটা আগেও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পরে তাঁর ছন্দে ফিরতে পর্যাপ্ত ম্যাচ প্র্যাক্টিসের দরকার ছিল। জিম্বাবোয়ে সফরে কুলদীপকে চেনা মেজাজে দেখা যায়। অত্যন্ত কৃপণ বোলিং করে ৩টি উইকেট তুলে নেন তিনি।
5/5 চোট সারিয়ে দলে ফেরা ক্রিকেটারদের মাঠে সময় কাটানোর জন্য জিম্বাবোয়ে সফর আদর্শ মঞ্চ হতে পারে, এটা জাতীয় নির্বাচকরা যথাযথ উপলব্ধি করেছিলেন। সেকারণেই এশিয়া কাপের আগে রাহুলকে জিম্বাবোয়েতে পাঠানো হয়ে ম্যাচ প্র্যাক্টিসের জন্য। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে বেশ কিছুক্ষণ সময় ক্রিজে কাটান লোকেশ। তাঁর ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩০ রানের ইনিংস সমর্থকদের উৎফুল্ল করবে না বটে, তবে লোকেশকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে সন্দেহ নেই।