কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেল নারী সংরক্ষণ বিল। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই বিলকে সবুজ সংকেত দেখানো হয়। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যটেল এই নিয়ে ঘোষণা করেন। সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা চলছিল। তবে প্রথা অনুযায়ী ক্যাবিনেট বৈঠকের পর কোনও সাংবাদিক সম্মেলন হয়নি।
1/5 মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট অনুমোদন দিল নারী সংরক্ষণ বিলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিষয়টি ঘোষণা করেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'নারী সংরক্ষণের দাবি পূরণ করার নৈতিক সাহস কেবল মাত্র মোদী সরকারেরই ছিল। এই বিলকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে সরকারের নৈতিক সাহস প্রমাণিত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীজি এবং মোদী সরকারকে অভিনন্দন।'
2/5 উল্লেখ্য, বিরোধীরা একযোগে দাবি তুলেছিল যাতে সংসদের এই বিশেষ অধিবেশনে নারী সংরক্ষণ বিল পাশ করানো হয়। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই বিল পেশ হলে তারা তা সমর্থন করবেন। এদিকে বিশেষ অধিবেশনের জন্য তালিকাভুক্ত বিলগুলির মধ্যে ছিল না নারী সংরক্ষণ বিলের উল্লেখ। তবে গতকাল বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনের পর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের বৈঠক বসে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মদীর নেতৃত্বে সেই বিলটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে ১০০ মিনিটের ক্যাবিনেট বৈঠকের পর প্রথা অনুযায়ী কোনও সাংবাদিক সম্মেলন হয়নি।
3/5 এদিকে কী আছে এই নারী সংরক্ষণ বিলে? বিল অনুযায়ী, লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভায় মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ৩৩ শতাংশ আসন। এদিকে তফশিলি জাতি বা তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত আসনগুলির মধ্যেও একতৃতীয়াংশ সংরক্ষিত থাকবে SC বা ST নারীদের জন্য। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে এই বিলটি রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল। তবে তখন তা আর লোকসভায় পেশ করা হয়নি। এদিকে এই বিলটি আইনে কার্যকর হওয়ার ১৫ বছর পর তা বিলুপ্ত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
4/5 এদিকে মোদী সরকারের তরফে নারী সংরক্ষণ বিলকে অনুমোদন দেওয়ায় মুখ খুলেছে কংগ্রেস। দলের তরফে জয়রাম রমেশ একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই নিয়ে লেখেন, 'কংগ্রেস পার্টি দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল যাতে মহিলাদের সংরক্ষণ কার্যকর করা হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই এবং বিলের বিশদ বিবরণের জন্য অপেক্ষা করছি। বিশেষ অধিবেশনের আগে সর্বদলীয় বৈঠকে এটি খুব ভালোভাবে আলোচনা করা যেত। গোপনীয়তার আবরণে কাজ করার পরিবর্তে ঐকমত্য তৈরি করা যেত।'
5/5 জয়রাম রমেশের কথায়, 'হায়দরাবাদে সদ্য সমাপ্ত কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম যাতে নারী সংরক্ষণ বিল পাশ করানো হয়। ১৯৮৯ সালে পঞ্চায়ে এবং পুরসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের বিল এনেছিলেন রাজীব গান্ধী। তা লোকসভায় পাশ করানো হলেও রাজ্যসভায় পাশ করেনি। পরে নরসিংহ রাওয়ের সরকার উভয় কক্ষে এই বিলটি পাশ করিয়েছিল এবং তা আইনে পরিণত হয়েছিল। পরে লোকসভা এবং বিধানসভায় নারী সংরক্ষণের জন্য মনমোহন সিং সরকার ২০১০ সালে বিল এনেছিল। রাজ্যসভায় তা পাশ হলেও লোকসভায় পেশ হয়নি সেই বিল। এই আবহে গত ৯ বছর ধরে এই বিল পাশের দাবি জানিয়ে আসছে কংগ্রেস।'