Australia vs India-অজি ভূমে সেরা বোলিংয়ের পর অশ্বিনের অবাক করার মতো প্রতিক্রিয়া

কীভাবে লকডাউনে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, সেই কথাও জানান তিনি।

লিয়ঁর উইকেট নেওয়ার পর অশ্বিন

এই নিয়ে চতুর্থ বার অস্ট্রেলিয়ায় খেলছেন। কিন্তু এর আগে এত ভালো বল কখনো করেননি তিনি। অ্যাডিলেডে গোলাপি বলে চারটি উইকেট নিয়ে দিনের সেরা নিশ্চিত ভাবেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বহুদিন বাদে ভারতের জন্য খেললেন। সেই নিয়ে অশ্বিনের মন্তব্য, মনে হল ফের নতুন করে অভিষেক হল!

অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা অত্যন্ত খারাপ হয় ভারতের। প্রথম দিনের শেষে স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ২৩৩ । দ্বিতীয় দিনে শেষ ৪ উইকেটে মাত্র ১১ রান করেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। একটা সময় মনে হয়েছিল ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক যে ৩৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল তা থেকে অনেকটা দূরে শেষ করেছে তারা । এর ফলে অ্যাডভান্টেজ পজিশনে চলে গেছে অজিরা।

কিন্তু তারপরেই ম্যাচের চাকা ঘুরিয়ে দেন ভারতীয় বোলাররা। ভুরিভুরি ক্যাচ যদি না পড়ত তাহলে হয়ত ভারত প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানের থেকে বেশি রানের লিড নিতে পারত। অজিদের টপ এবং মিডল অর্ডারে স্মিথ,গ্রিন,হেডদের উইকেট পরপর তুলে নিয়ে অজি ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। প্রায় ১০ মাস বাদে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চে ফিরে প্রথম ইনিংসে ফিরে মোট চারটি উইকেট তুলে নেন তিনি।

করোনার কারনে সমস্ত খেলাধুলা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার আগে ফেব্রুয়ারি মাসে শেষবার ভারতের জার্সিতে টেস্ট খেলেছিলেন অশ্বিন। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অশ্বিন জানান 'আমি খুব খুশি যে আমরা আবার টেস্ট ক্রিকেট খেলছি।আমরা যে এই পরিস্থিতিতে ফের ক্রিকেট খেলতে পারব এটাই ভাবিনি। আমি খেলাটার জন্য পাগল। তাই লকডাউনেও কঠোর অনুশীলন করেছি।এটা খুব রিফ্রেশিং ছিল। পিঙ্ক বল টেস্ট খেলার একটা আলাদা উন্মাদনা আছে। আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন ফের আমার অভিষেক ম্যাচে খেলছি।আমি খুব আনন্দের সাথে বল করছিলাম। স্মিথের উইকেটটা নিঃসন্দেহে খুব গুরুত্বপূর্ণ।ও যেভাবে ব্যাট করে তাতে উইকেটের গুরুত্ব আর ও বেশি বেড়ে যায়। আমি এই উইকেটটা নিতে পেরে খুব এনজয় করেছি।'