শুভব্রত মুখার্জি: ভারতে অনুষ্ঠিত এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপের গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া। ম্যাচে কার্যত ইন্দোনেশিয়া দলকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়ান মেয়েরা। ১৮-০ গোলে লজ্জার হারের সম্মুখীন হতে হল ইন্দোনেশিয়াকে। শুক্রবাসরীয় ম্যাচে অজিদের হয়ে পাঁচটি গোল করলেন স্যাম কের।
প্রসঙ্গত আজ যখন ম্যাচের শুরু করেন স্যাম কের তখন অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালীন সর্বাধিক গোলস্কোরারদের (পুরুষ/মহিলা) তালিকায় টিম ক্যাহিলের থেকে মাত্র এক গোল পিছনে ছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে এগিয়ে গেলেন চার গোলের ব্যবধানে। ১০৪ ম্যাচে এখন তার গোলসংখ্যা ৫৪। মুম্বই ফুটবল এরিনাতে গ্রুপ-বি ম্যাচে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন রাঙ্কধারী দুই দলের লড়াইটা প্রথম থেকেই ছিল অসম লড়াই।
১৯৮৯ সালের পরে এই প্রথমবার এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ইন্দোনেশিয়া দল। ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া দল এদিন কার্যত যখন খুশি গোল করার মুডে খেলল গোটা ম্যাচটা। এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপের সবথেকে বড় জয়টি পেল এইবছর ব্যালন ডি'অর পুরস্কারের তৃতীয় স্থানে থাকা স্যাম কেরের অস্ট্রেলিয়া দল। ৯ম মিনিটে স্যাম কের তার ক্যারিয়ারের ৫০তম গোলটি করেন। ১১তম মিনিটে কের ডুলি দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন। ১৪তম মিনিটে ক্যাটলিন ফোর্ড, ১৭তম মিনিটে ম্যারি ফাওলার, ২৪তম মিনিটে মাটিল্ডাস গোল করে ৫-০ গোলে এগিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়াকে।
এদিন স্যাম কেরের পাশাপাশি ভ্যান এগমন্ড ও হ্যাটট্রিক করেন। তার করা হ্যাটট্রিকের গোলেই ১৩-০তে এগিয়ে যায় অজিরা। এক ঘণ্টার মাথায় স্যাম কের একটি পেনাল্টি কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। ম্যাচের সেরা গোলটি করেন আইভি লুইক। ৭৮তম মিনিটে ব্যাকহিলে দলের ১৭তম গোলটি করেন তিনি। রাসো দলের ১৮তম গোলটি করে টুর্নামেন্টের ২০ বছরের ইতিহাসে সব থেকে বড় জয় নিশ্চিত করেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।