গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের ঘটনার রেশ পড়তে পারে ভারতীয় ক্রিকেটে। যদি সরকার চিন বিরোধী নীতি নেয়, তবে অবধারিতভাবে বিসিসিআইকে চিনা সংস্থার সঙ্গে স্পনসরশিপ সংক্রান্ত একাধিক চুক্তি অবিলম্বে রদ করতে হবে। তা না হলেও, নিছক সমর্থকদের চিন বিরোধী আবেগকে সম্মান জানাতে স্পনসরশিপ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে ভারতীয় বোর্ড। আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপ-সহ চিনা সংস্থাগুলির সঙ্গে বিভিন্ন বাণিজ্যিক চুক্তি পুর্নবিবেচনার জন্য আগামী সপ্তাহেই আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল বৈঠকে বসছে।
এমন পরিস্থিতিতে দেখে নেওয়া যাক ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ তথা ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তিতে কোন কোন চিনা সংস্থা যুক্ত রয়েছে।
ভিভো:- আইপিএলের টাইটেল স্পনসর এই চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা। ২০১৮ সালে পাঁচ বছরের জন্য বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় তারা। বার্ষিক ৪৪০ কোটি টাকা হিসাবে পাঁচ বছরের জন্য মোট ২১৯৯ কোটি টাকার মূল্যে ভিভো কিনে নেয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের টাইটেল স্পনসরশিপ।
পেটিএম:- এই অনলাইন পেমেন্ট সংস্থা আইপিএলের অফিসিয়াল আম্পায়ার পার্টনার। ভারতের মাটিতে পাঁচ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বত্বও কেনা রয়েছে পেটিএমের। তার জন্য তারা বিসিসিআইকে ৩২৬ কোটি টাকা দিতে চুক্তিবদ্ধ। চিনা সংস্থা আলিবাবা বিনিয়োগ করে পেটিএমে।
সুইগি:- আইপিএলের অ্যসোসিয়েট স্পনসর সুইগিতে বিনিয়োগ করে চিনের ইন্টারনেট সংস্থা টেনসেন্ট।
ড্রিম ইলেভেন:- আইপিএলের অনলাইন ফ্যান্টাসি লিগ পার্টনার ড্রিম ইলেভেনেও বিনিয়োগ করে চিনা সংস্থা টেনসেন্ট।
বাইজু'স:- জাতীয় দলের অফিসিয়াল স্পনসর বাইজু'স-এও অর্থের যোগান দেয় টেনসেন্ট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।