২১ জুন মঙ্গলবার বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে ২০২৩ সালের অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়া রোমাঞ্চকর জয় তুলে নেয়। নবম উইকেটে প্যাট কামিন্স এবং নাথান লিয়নের ৫৫ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপই শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেয়। ২ উইকেটে লড়াকু জয় ছিনিয়ে নেয় অস্ট্রেলিয়া। অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এই জয়কে ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার কুখ্যাত হেডিংলে হারের সংশোধন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এবং বলেছেন যে, তিনি এবং তাঁর সতীর্থরা সেই অধ্যায়ে ইতি টানতে পেরে খুশি।
এজবাস্টনে অজিদের তরী ভাসিয়ে রাখেন কামিন্স। নয়ে নেমে ৭৩ বলে অপরাজিত ৪৪ করে শেষ বাজিমাত করেন কামিন্সই। তিনি হয়ে যান এই টেস্ট জয়ের মূল কাণ্ডারী। পাশাপাশি ৯ বা তার নীচে ব্যাট করা যে কোনও ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোরের নজির গড়েন কামিন্স। প্রথম ইনিংসে ৩৮ রান করেছিলেন। তবে উইকেট পান শুধু দ্বিতীয় ইনিংসেই। আর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি চার উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারকে ল্যাজেগোবরে করেন।
আরও পড়ুন: ২৫০-এর বেশি রান তাড়া করে জয় অজিদের, স্পর্শ করল ৭৫ বছর আগের ব্র্যাডম্যানদের নজির
মঙ্গলবার এজবাস্টনে কামিন্সের ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স এবং ২০১৯ সালে হেডিংলে টেস্টে বেন স্টোকসের বীরত্বের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য ছিল না। চার বছর আগে হেডিংলে-তে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। এর পর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫৯ রান তাড়া করতে নেমে ১ উইকেটে স্মরণীয় জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। বেন স্টোকস অপরাজিত ১৩৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। জ্যাক লিচের সঙ্গে তিনি ৭৬ রানের জুটি গড়েন। এবং ইংল্যান্ড ১ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয়।
হেডিংলি টেস্টে স্টোকসের বিধ্বংসী পারফরম্যান্স অস্ট্রেলিয়ান দলকে বড় ধাক্কা দিয়েছিল। এবং কামিন্স সে কথা ভুলতে পারেননি। এজবাস্টনে জেতার পর তিনি চার বছর আগের স্মৃতি টেনে বলেছেন, সেটি একটি বেদনাদায়ক হার ছিল।
আরও পড়ুন: ১৬ বলে ৯০ রান, MPL 2023-এ চমক দেখাল ১৮ বছরের আরশিন- ভিডিয়ো
কামিন্স সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাদের কাছে গত সিরিজটি ছিল যন্ত্রণার। তবে সেটি চমৎকার একটি টেস্ট ম্যাচ ছিল। সত্যি কথা বলতে, লড়াইটা কঠিন ছিল। তবে হেরে গেল খরাপ লাগে। তবে সেটি এখন অতীত। ওই সিরিজে ১-০ এগিয়ে যাওয়ার পর সাজঘরের সকলেই খুব খুশি। আসলে আমরা এই টেস্ট জিতে হেডিংলের ক্ষততে মলম দিতে পেরেছি। তাই এটা বেশ সন্তোষজনক বিষয়।’
এজবাস্টন টেস্ট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কামিন্স বলেন, ‘ভালো সুযোগই দেখছিলাম। উইকেটে তো ভয়ংকর কিছু ছিল না। আমার মনে হয়েছিল, ম্যাচ আমাদের হাতের মুঠোতেই আছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘দুই দলই নিজেদের স্টাইলে লড়াই করেছিল। আর এটাই সিরিজের সৌন্দর্য। আমরা আমাদের শক্তি অনুযায়ীই খেলব। কোনটি স্টাইলটি ভালো জানি না, তবে সকলকে বিনোদন দেওয়ার জন্য খেলব।’
উসমান খোয়াজারও প্রশংসা করেন কামিন্স। তিনি প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ১৪১ রান করেছিলেন খোয়াজা। আর দ্বিতীয় ৬৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। খোয়াজা প্রসঙ্গে কামিন্স বলেন, ‘অবিশ্বাস্য সংযম রয়েছে। নিজের স্টাইলে খেলে। গত কয়েক বছর ধরে ও ওর ক্লাস দেখিয়ে চলেছে। ও ক্রিজে থাকলে অন্যরাও পারফর্ম করে। আমি খুব খুশি ওর জন্য। ও উইকেট ভালো বুঝতে পারে। আসলে সবাই নিজেদের ভূমিকাটা পালনের চেষ্টা করেছে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।