এএফসি কাপের গ্রুপ লিগে পরপর দু'ম্যাচ জিতলেও, বসুন্ধরা কিংসের কাছে আটকেই গেল এটিকে মোহনবাগান। মঙ্গলবার তারা ডেভিড উইলিয়ামসের গোলের হাত ধরে ১-১ ড্র করে বাংলাদেশের ক্লাবের সঙ্গে। তবে অবশ্য এতে তাদের পরের পর্বে যাওয়া এতটুকু আটকায়নি। গ্রুপ লিগে অপরাজিত থেকেই নক আউট পর্বে পৌঁছে গেল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের টিম।
এ দিন ড্র করলেই পরের পর্বে চলে যেত এটিকে মোহনবাগান। তাই ম্যাচ ড্র হওয়ায় সহজেই পরের পর্বে চলে গেলেন রয় কৃষ্ণরা। তবে বিরতির ঠিক আগেই শুভাশিস বসুর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন বসুন্ধরার সুশান্ত ত্রিপুরা। বাংলাদেশের দল দশ জনে হয়ে যাওয়ার পরেও ম্যাচটা জিততে পারেনি এটিকে মোহনবাগান। তবে এতে কোনও আক্ষেপ নেই হাবাসের।
তিনি বলেছেন, ‘এই ম্যাচটা কঠিন হবে জানতাম। তবু যদি পুরো নব্বই মিনিটের খেলা ধরা হয়, তা হলে কিন্তু আমরা অনেক ভালো খেলেছি। আমাদেরই প্রাধান্য ছিল। আরও গোল হতে পারত। আমার হাতে যে রিজার্ভ বেঞ্চ ছিল, তা একেবারেই তরুণ। তাই একটাই পরিবর্তন করতে পেরেছিলাম। যে মনোভাব নিয়ে ছেলেরা খেলছে, তাতে আমি গর্বিত এবং খুশি। আমার পরামর্শ মেনে শৃঙ্খলাপরায়ণ ভাবে ওরা খেলেছে।’
হাবাস আরও বলেছেন, ‘বসুন্ধরার সীমাবদ্ধটা জানতাম। প্রথম ৪৫ মিনিট ওরা প্রতিটা বলের জন্য সমানে লড়াই চালাবে, তাও জানতাম। সে জন্য পিছিয়ে থেকেও আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়েছিলাম। ড্রেসিংরুমে ফিরে ঠিকই করেছিলাম, পাল্টা ঘুরে দাঁড়াব। ওরা খুবই ফিজিক্যাল গেম খেলেছে। সেই জন্য দশ জন হয়ে গিয়েছে। আরও একটা লালকার্ড হতে পারত।’
এর সঙ্গেই এটিকে মোহনবাগান কোচের যুক্তি, ‘মাত্র ২০ দিন অনুশীলন করে খেলতে এসেছিলাম। তাও বসুন্ধরার বিরুদ্ধে একজন বিদেশি কম নিয়ে খেলেছি। দুপুরের প্রচণ্ড গরমে আমার ছেলেরা সেরাটা দিয়েছে।’
দলের এই সাফল্যে খুশি সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলার এবং কোচিং স্টাফেরা যে ভাবে এএফসি কাপের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের নক আউট পর্বে দলকে নিয়ে গিয়েছে, তাতে আমি অভিভূত।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।