বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এএফসি কাপের সেমিফাইনালে উজবেকিস্তানের এফসি নাসাফের মুখোমুখি হতে চলেছে এটিকে মোহনবাগান। তার আগে উত্তেজনায় ফুটছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। উত্তেজিত দলের তারকা স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণও। তবে তার মধ্যেও টুর্নামেন্টের শুরুতে যে নানা বিধিনিষেধের জেরে অন্যদের তুলনায় দেরি করেই অনুশীলনে মাঠে নামতে হয়েছিল তাঁর দলকে,তাও মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি স্ট্রাইকার।
গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকেই নক আউট রাউন্ডে কোয়ালিফাই করে এটিকে মোহনবাগান। গ্রুপ পর্বে কঠিন প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে দুরন্তভাবে একের পর এক বাধা অতিক্রম করেই এই পর্যায়ে পৌঁছায় আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল। সেই কথা মনে করে রয় কৃষ্ণ বলেন, ‘কিছু কিছু দল নিজেদের দেশের টুর্নামেন্ট জিতে ভাল প্রস্তুতি নিয়েই প্লেঅফে নেমেছিল। সেখানে আমরা বিধিনিষেধের জেরে মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই মলদ্বীপে নিজেদের অনুশীলন শুরু করি। আমরা নিজেদের দেশে একত্রিত হতে পারিনি এবং আধিকারিদের সঙ্গে পুরো বিষয়টা মিটমাট করতেও বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়। তাই আমরা মাত্র এক সপ্তাহ মতোই অনুশীলন করতে পারি।’
তবে বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে। বহু দিন ধরেই দুবাইয়ে একত্রিত হয়ে অনুশীলন সারছেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে তাই ম্যাট ফিটনেস নিয়ে একটু সমস্যা হলেও এখন তা পুরোপুরি মিটে গিয়েছে বলেই জানান ৩৪ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। নাসেফের বিরুদ্ধে কড়া টক্কর হবে বলে স্বীকার করে নিলেও সবুজ-মেরুন ব্রিগেড চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি বলেই দাবি তাঁর।
‘ওদের দলে বেশ কিছু ভাল বিদেশি ফুটবলার রয়েছে। পাশপাশি ওদের ঘরোয়া লিগ শুরু হয়ে যাওয়াতেও বেশ কিছু মাস ধরে ওরা অনুশীলন করেই আমাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে। ওদের মতো একটা দলের বিরুদ্ধে খেলা নিঃসন্দেহে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা জয়ের লক্ষ্যেই নিজেদের প্রস্তুত করছি। ওদের ঘরের মাঠে খেলা হলেও আমার বিশ্বাস আমরা ম্যাচ জিততে সক্ষম হব। ব্যক্তিগত আমরা যদি শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারি, তাহলে তা আমার কাছে একটা বড় প্রাপ্তি হবে।’ জানান রয় কৃষ্ণ।
তবে দলের প্রয়োজন গোল, অ্যাসিস্ট দেওয়া থেকে ডিফেন্ড করতেও যে টিমম্যান রয় কৃষ্ণ বিন্দুমাত্র কুন্ঠা বোধ করবেন না, তা সাফ জানিয়ে দেন। ‘আমাদের ডিফেন্স ও মিডফিল্ড বেশ মজবুত। ওরা বলের দখল রেখে গোলের সুযোগও তৈরি করবে। আমার প্রধান লক্ষ্যই হল দলকে জিততে সাহায্য করা। আমি যদি সেই লক্ষ্যে গোল করার সুযোগ পাই, তো গোল করব, যদি গোলের পাস বাড়ানোর সুযোগ আসে তাহলে তাই করব। দিনের শেষে যদি আমায় দলের প্রয়োজনে ডিফেন্ড করতে হয়, তাহলে গোলের সামনে দলের ডিফেন্সকে সাহায্য করতেও আমার কোন অসুবিধা নেই।’ দাবি তাঁর।