শুভব্রত মুখার্জি: চলতি ডুরান্ড কাপে পরপর দু দিন দুটি ডার্বির সাক্ষী থাকল দর্শকরা। শনিবার কলকাতা ডার্বির পরে রবিবার ছিল কেরল ডার্বি। যে ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল আইএসএলের অন্যতম শক্তিশালী দল কেরালা ব্লাস্টার্স এবং আইলিগের দল গোকুলাম কেরালা। দুই দলের এক টানটান উত্তেজনার ডার্বির এদিন সাক্ষী থাকল কলকাতাবাসী। মোহনবাগান মাঠে এদিনের কেরল ডার্বিতে শেষ হাসি হাসল গোকুলাম কেরালা। শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ৪-৩ গোলে জয় ছিনিয়ে নিল তারা।
কেরালা ব্লাস্টার্সের খেলার প্রতি এদিন বিশেষ করে নজর ছিল বঙ্গবাসীর। কারণ এই বছরে তাদের দলে রয়েছেন দুই বঙ্গসন্তান। গত বছর মোহনবাগানে খেলা প্রীতম কোটালের পাশাপাশি দলে রয়েছেন প্রবীর দাসও। এ দিন বলা যায় তাদের চেনা পরিবেশ পরিস্থিতিতেই খেলতে নেমেছিলেন প্রীতম-প্রবীররা। তবে তাতেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি তারা। এদিনের কেরল ডার্বি ছিল গতকালের কলকাতা ডার্বি থেকে অনেকটাই আলাদা। গতকাল কলকাতা ডার্বিতে দীর্ঘদিন পরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ১-০ ফলে হারিয়েছিল মোহনবাগানকে। ম্যাচে খুব বেশি গোলের সুযোগও তৈরি হয়নি, আর গোলও হয় মাত্র একটি। তবে এ দিন কিন্তু মোহনবাগান মাঠে গোল বন্যার সাক্ষী থাকল দর্শকরা। ম্যাচে হল মোট ৭ টি গোল। আর সেই ম্যাচেই ৪-৩ ফলে জিতে শেষ হাসিটা হাসল গোকুলাম কেরালা।
প্রসঙ্গত এই বছরেই কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে সাহাল আব্দুল সামাদকে সই করিয়েছে মোহনবাগান। আর সেই কারণেই প্রীতম কোটালকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে মোহনবাগান। তবে নতুন দলের হয়ে প্রথম ডার্বির অভিজ্ঞতা ভালো হল না প্রীতমের। দলের হারের পাশাপাশি এদিন গুরুতর চোটও পেয়েছেন ভারতীয় জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডার। মোহনবাগান মাঠে এদিন শুরু থেকেই খেলেছেন মোহনবাগানের দুই প্রাক্তন ফুটবলার প্রীতম ও প্রবীর। এদিন ম্যাচের ১৭ মিনিটে বৌবা আমিনুর গোলে লিড নেয় গোকুলম কেরালা। ৩৪ মিনিটে সমতা ফেরান এমানুয়েল জাস্টিন। সমতা ফেরায় কেরালা ব্লাস্টার্স। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ৪৩ মিনিটে গোকুলমকে ফের একবার এগিয়ে দেন শ্রীকুত্তন। প্রথমার্ধের একেবারে শেষে যোগ করা সময়ে গোকুলাম খেলার স্কোর ৩-১ করে দেয়। তাদের তৃতীয় গোলটি ছিল আত্মঘাতী গোল। নাওচার আত্মঘাতী গোল করে বসেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের এগিয়ে যায় গোকুলাম কেরালা। ম্যাচে গোকুলাম ৪-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরেই অনবদ্য প্রত্যাবর্তন করে কেরালা ব্লাস্টার্স। কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে একটি গোল করে ব্যবধান কমান প্রবীর দাস। ৫৪ মিনিটে দলের হয়ে গোলটি করেন প্রবীর। ৭৭ মিনিটে আরও একটি গোল করে ব্যবধান কমায় কেরালা ব্লাস্টার্স। গোল করেন লুনার। স্কোরলাইন হয় ৪-৩। এরপর আরও একটি গোল করার সময় পেলেও তা শোধ করতে পারেনি কেরালা ব্লাস্টার্স। ফলে ৪-৩ ব্যবধানে ম্যাচ হারতে হল তাদের। এদিনের জয়ের ফলে গোকুলম কেরালা নকআউট পর্বের জন্য ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে চাপে পড়ে গেল কেরালা ব্লাস্টার্স।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।