প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল যতটা না ভালো খেলেছিল, তার চেয়ে বেশি বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধে পুলিশ টিম সমতা ফেরানোর পর, জয়ের জন্য কিছুটা মরিয়া হয়ে ওঠে লাল-হলুদ। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল দুই গোল করলেও, সেই ভাবে মরিয়া ভাব ছিল না দলের মধ্যে। আর ২টি গোলের মধ্য়ে একটি ছিল আত্মঘাতী, অন্যটি পেনাল্টি থেকে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা মিস করেন সার্থক গলুই। ফিরতি বল অবশ্য সার্থকই জালে জড়ান। আর আত্মঘাতীয় গোলটি করেছিলেন পুলিশের তপেন্দু ঘোষ।
বিরতির আগেই পেনাল্টি থেকে পুলিশের সুব্রত বিশ্বাস ১-২ করেছিলেন। আর দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার ঠিক পরেই রাজীব দত্ত ২-২ সমতা ফেরান। এর পরেই কিছুটা মরিয়া ভাব দেখা যায় লাল-হলুদের মধ্যে। তার মধ্যে ম্যাচের ৬৮ মিনিটে পেনাল্টি এবং পেনাল্টি থেকে দীপ সাহার গোলের পর আত্মবিশ্বাসী লাগে লাল-হলুদকে। বরং পুলিশ টিমকে তখন কিছুটা ক্লান্ত লাগছিল। তার জেরে নিজেদের মধ্যে ভুল করে আরও এক গোল খেয়ে বসে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। অভিষেক কুঞ্জুম ৪-২ করেন। এরপর আর কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। ইস্টবেঙ্গল পুরো ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ল।
৪-২ জিতল ইস্টবেঙ্গল
অবশেষে কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গল জয়ের খাতা খুলল। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তারা হারাল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে। ৪-২ জয় ছিনিয়ে নিয়ে পুরো পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়লেন বিনো জর্জের ছেলেরা।
নির্ধারতি সময়ে খেলা শেষ, ছয় মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। ছয় মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হল। গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারবে লাল-হলুদ, নাকি পুলিশ চমক দেবে?
৮৫ মিনিট অতিক্রান্ত, ৪-২ এখনও এগিয়ে লাল-হলুদ
৮৫ মিনিট পার হয়ে গেল। কিন্তু খেলার ফল এখনও ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে ৪-২। হয়তো এই ম্য়াচে পুরো পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। কারণ পুলিশ টিমের মধ্যে সেই লড়াকু ভাবটা হঠাৎ-ই উধাও।
গোওওওওলললল… ৪-২ করল ইস্টবেঙ্গল
৭৪ মিনিটে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ রক্ষণের ভুলে ৪-২ করে ফেলল লাল-হলুদ। সুব্রত বিশ্বাস এবং তনবীরের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। সুব্রত ব্যাক পাস করলেও তনবীর বুঝতে পারেননি। সেই বল তিনি সংগ্রহ করতে যাননি। সেই সুযোগ কাজে লাগায় লাল-হলুদ। অভিষেক কুঞ্জম সতর্ক ছিলেন এবং তিনি সেই বল ধরে জালে জড়ান!
গোওওওওললললল---- ৩-২ করল লাল-হলুদ
৭০ মিনিটে দীপ সাহা পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি। ৩-২ করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল।
পেনাল্টি পেল ইস্টবেঙ্গল
দলের ৬৮ মিনিটে পুলিশের প্লেয়ার ফাউল করে লাল-হলুদ প্লেয়ারকে। রেফারি পেনাল্টি দেন। তবে পুলিশের প্লেয়াররা রেফারির কাছে প্রতিবাদ করেন, কারণ তাঁদের দাবি, ফাউলটি বক্সের বাইরে ছিল!
সুযোগ নষ্ট লাল-হলুদের
৫৮ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের জন্য গোলের বড় সুযোগ ছিল। সার্থক একটি লুপিং শট আমনের উদ্দেশ্যে খেলেন। কিন্তু তনবীর সেভ করেন বল।
গোওওওওললললললল… ২-২ করে ফেলল পুলিশ
বিরতির ঠিক পরেই ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ২-২ করে ফেলল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। অনুপম দত্তের ফ্রি-কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে, ফিরতি বলে গোল করেন রাজীব দত্ত। দুরন্ত গোল। কিছুই করার ছিল না লাল-হলুদ কিপার নিশাদের।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধে ব্য়বধান বাড়াতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। তা না হলে সমস্যায় পড়ে যেতে পারে তারা।
বিরতিতে ২-১ এগিয়ে লাল-হলুদ
বিরতিতে ২-১ এগিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ২ গোল হলেও, লাল-হলুদের খেলার মধ্যে সেই মরিয়া ভাবটা নেই। সেই ছটফটানি নেই। কিছুটা যেন তারা বিবর্ণ।
ভালো সেভ তনবীরের
৪২ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের মিডফিল্ডার লিজো ডি বক্সের বাইরে থেকে একটি লম্বা গোলমুখী শট নেন। তবে পুলিশের গোলরক্ষক তনবীর ডাইভ দিয়ে সেটা সেভ করেন! ভালো সেভ ছিল। তা না হলে বিরতির আগেই লাল-হলুদ ৩-১ করে ফেলতে পারত।
গোওওওওলললল… ১-২ করল পুলিশ
৩৩ মিনিটে ব্যবধান কমাল পুলিশের টিম। লাল-হলুদের ডিফেন্ডার শুভেন্দু মান্ডি বক্সের ভিতরে রতন মান্ডিকে ফাউল করে বসেন। রেফারি পেনাল্ট দেন। আর পেনাল্টি থেকে আত্মবিশ্বাসী গোল করেন সুব্রত বিশ্বাস। ২-১ করে ফেলল পুলিশ।
গোওওওওওলললললল… ২-০ করল ইস্টবেঙ্গল
২৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় গোল হয়। পেনাল্টি শট নেন সার্থক গলুই। কিন্তু পুলিশের কিপার তনবীর পেনাল্টি বাঁচিয়ে দেন। ফিরতি বলে গোল করেন সার্থক। এক্ষেত্রে পুলিশের রক্ষণের গাফিলতিতেই দ্বিতীয় গোল গোল হল। তনবীর পেনাল্টি বাঁচালেও, সেই বল ক্লিয়ার করার জন্য আশেপাশে পুলিশের কোনও প্লেয়ার ছিল না। ২-০ এগিয়ে স্বস্তি ফিরল লাল-হলুদের।
পেনাল্টি পেল ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচের ২৩ মিনিটে ডি-বক্সের ভিতর লাল-হলুদের বুনান্দোকে ফাউল করে পুলিশের প্লেয়ার। পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল।
গোওওওওওললললললল… এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচে ১৭ মিনিটে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। তবে গোলটি লাল-হলুদের কেউ করেনি। ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ তৈরি করেছিল। ফাঁকা গোলে শট নেওয়া হলেও, সেটা ক্লিয়ার করতে গিয়ে পুলিশের প্লেয়ার তপেন্দু ঘোষের পায়ে লেগে বল গোলে ঢুকে যায়।
১০ মিনিট অতিক্রান্ত, খেলায় ঝাঁজ নেই ইস্টবেঙ্গলের
খেলায় একেবারে ঝাঁজ নেই ইস্টবেঙ্গলের। দলে পরিবর্তন করেও কোনও রকম সুফল আপাতত দেখা যায়নি। ম্যাড়েম্যাড়ে ফুটবল এখনও পর্যন্ত। বরং বল পজেশনে পিছিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
খেলা শুরু
ইস্টবেঙ্গল-পুলিশের মধ্যে ম্যাচ শুরু। পারবে কি লাল-হলুদ আজ জয়ে ফিরতে?
ইস্টবেঙ্গলের একাদশ
দলে পাঁচটি পরিবর্তন করেছে ইস্টবেঙ্গল। আদিত্য, অতুল, তুহিন, তন্ময় এবং সঞ্জীবের জায়গায় নিশাদ, বুনান্দো, নিরঞ্জন, দীপ এবং আমান।
প্রথম একাদশে পরিবর্তন
সোমবার দুপুরে নৈহাটি স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলের সামনে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। গ্রুপের অন্যতম সহজ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামার আগেও স্বস্তি নেই লাল-হলুদ শিবিরে। পুলিশের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে একধিক বদল করতে পারে ইস্টবেঙ্গল। মহম্মদ নিশাদ, বুনান্দো সিং, নিরঞ্জন মণ্ডল, দীপ সাহাদের দলে দেখার সম্ভবনা প্রবল। সার্থক গোলুই খেলবেন সেন্টার ব্যাক হিসাবে। কোচ বিনো জর্জ ভরসা রাখছেন এই দলের উপর। বলে গেলেন, ‘সবাই নতুন ছেলে। সেট হতে একটু সময় লাগবে। একটা ম্যাচ জিতলেই ছেলেরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে। আশা করছি কালই সেটা হবে।’
গোল করার লোকের অভাব
সিনিয়র দল হোক বা রিজার্ভ গত মরশুমে গোল করার লোক না থাকায় বারবার ভুগেছে ইস্টবেঙ্গল। এবারও কলকাতা লিগে রেনবো এসির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে সুযোগ তৈরি হলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি লাল-হলুদ ফুটবলাররা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেও কি সেই সমস্যা মিটবে ইস্টবেঙ্গলের? রবিবাসরীয় বিকালে লাল-হলুদের অনুশীলন দেখে তা নিয়ে আশাবাদী হওয়ার উপায় নেই। জেসিন টিকে অসুস্থ, মহম্মদ রোশেলের চোট। তাঁরা এখনই মাঠে ফিরছেন না। এই অবস্থায় গোলের জন্য কোচ বিনো জর্জের বাজি মহম্মদ নিয়াস। প্রথম ম্যাচে একাই খান চারেক সুযোগ নষ্ট করেছেন তিনি। এদিন হাওড়া স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলন শেষে গোল করার জন্য বিশেষভাবে প্র্যাকটিস চালিয়ে গেলেন এই দীর্ঘদেহী স্ট্রাইকার। সতীর্থ নসিব রহমান, রূপম রায়রা একের পর এক বল সাজিয়ে দিলেন নিয়াসকে। হাতে গোনা কয়েকটা বলই গোলে রাখতে পারলেন তিনি। বাইরে গেল শট, নয়তো কাছে পৌঁছতে পারলেন না নিয়াস।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।