মাত্র কয়েক ম্যাচ আগেই প্রিমিয়র লিগের প্রথম চারের দৌড়ে এগিয়ে ছিল আর্সেনাল। তবে গত ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে হারের পর ব্রাইটন এন্ড হোভ অ্যালবিয়নের বিরুদ্ধেও ২-১ হেরে আর্সেনালের প্রথম চারে শেষ করার আশায় বড় রকমের ধাক্কা লাগাল। ব্রাইটনের হয়ে ম্যাচের তারকা এনক মপু।
২৮ মিনিটে মপুর পাস থেকেই ব্রাইটনকে এগিয়ে লিয়ান্দ্রো ট্রসার্ড। প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়ে থাকার পর ম্যাচ ৬০ মিনিটে লুইস ডাঙ্ক ব্রাইটনের ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পান। তবে তিনি তা কাজে লাগাতে না পারলেও, তার ছয় মিনিট পরেই মপু এক তুখড় গোলে সিগালদের লিড বাড়ান। ম্যাচের শেষের দিকে আর্সেনাল গোল করার মরিয়া চেষ্টা করে। মার্টিন ওডেগার্ডের একটি শট বারের লাগলেও, তিনিই ৮৯ মিনিটে দলের হয়ে গোল করেন। তবে গানার্সরা আর গোল করতে না পারায় ম্যাচে হারতেই হয় তাদের।
নাগাড়ে দুই হারের যন্ত্রণা তো ছিলই, আর্সেনাল সমর্থক সেই ব্যথাটা যেন উত্তর লন্ডনের আরেক দল টটেনহ্যাম হটস্পার, চার গোলে জেতায় আরও বেড়ে যায়। সন হিউং-মিনের হ্যাটট্রিকে ভর করে অ্যাস্টন ভিলাকে ৪-০ গোলে মাত দেয় স্পার্স। ম্যাচের তিন মিনিটেই স্পার্সকে এগিয়ে দেন সন। তবে স্পার্স অধিনায়ক তথা গোলরক্ষক হুগো লরিস না থাকলে, স্পার্স কিন্তু বেশ চাপে পড়ে যেত। প্রথমার্ধে ভিলার জেকব রামসি, জন ম্যাকগিন এবং ড্যানি ইংসের শট দারুণভাবে প্রতিহত করেন লরিস।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তুখড় ফর্মে থাকা ডেয়ান কুলুসেভস্কি স্পার্সের ব্যবধান দ্বিগুন করেন। এরপর ৬৬ মিনিটের মাথায় হ্যারি কেনের অ্যাসিস্ট থেকে নিজের দ্বিতীয় ও স্পার্সের তৃতীয় গোলটি করেন সন। তার পাঁচ মিনিট পরে কুলুসেভস্কির পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় প্রিমিয়র লিগ হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার সন। ম্যাচে আর কোনও গোল হয়নি। এই নিয়ে নাগাড়ে চার ম্যাচ জিতে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় চারে রইল স্পার্স। এক ম্যাচ কম খেলে, তিন পয়েন্ট কম, ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে আর্সেনাল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।