আইএসএলের ছয় ম্য়াচ পরে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে আবার জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। শনিবার হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল তারা। ম্যাচের একমাত্র গোল ক্লেটন সিলভার। কার্ড সমস্যা কাটিয়ে ফিরেই দলকে জেতালেন ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার। ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের অষ্টম স্থানে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল।
শনিবার ম্যাচ জিতলেও মন জয় করতে পারেনি লাল-হলুদ। নড়বড়ে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে দাপট দেখানো উচিত ছিল, তার সিকি ভাগও খুঁজে পাওয়া যায়নি ইস্টবেঙ্গলের খেলায়। বরং হায়দরাবাদ অনেক বেশি লড়াকু ফুটবল খেলেছে। তবে তাদের দলে গোল করার লোকের অভাব রয়েছে। তা না হলে কপালে দুঃখ ছিল ইস্টবেঙ্গলের।
কার্লেস কুয়াদ্রাত অবশ্য দলের জয়েই সান্ত্বনা খুঁজছে। ম্যাচ শেষে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘ওরা পয়েন্ট তালিকার শেষে ছিল। ওদের কিছু হারানোর ছিল না। এই রকম দলের বিরুদ্ধে ১ গোলের ব্যবধান খুব একটা নিরাপদ নয়। তাই চিন্তায় ছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত যে জিতেছি, সেটাই বড় কথা। এই জয় খুব দরকার ছিল। চোট-আঘাত, কার্ড সমস্যা ও নতুন খেলোয়াড়দের জন্য আমরা দুঃসময় কাটিয়ে এসেছি। এ বার আমাদের বোঝাতে হবে, আমরা কী ভাবে খেলতে চাই। এর জন্য সময় দরকার। তাই আজকের তিন পয়েন্টটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
ইস্টবেঙ্গলের গা-ছাড়া ফুটবল নিয়ে বলতে গিয়ে কুয়াদ্রাত অবশ্য, টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তিকেই দায়ী করেছেন। বলেছেন, ‘তিন দিনের ব্যবধানে খেলতে হচ্ছে। প্রস্তুতির জন্য মাত্র এক দিন সময় পাচ্ছি। তাই ফুটবলারদের ক্লান্ত হওয়া স্বাভাবিক। তার মধ্যেও ওরা জিতেছে।’
বরং লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ মনে করেন, আরও গোলের সংখ্যা বাড়তে পারত। একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করে ইস্টবেঙ্গল। কুয়াদ্রাত বলেন, ‘আমাদের অনেক আগেই আরও একটা গোল করে ফেলা উচিত ছিল। তার মানে আমরা শেষের সেই মুহূর্ত পর্যন্ত যেতে পারছি না, যে সময়ে গোল খাওয়ার যথেষ্ট ঝুঁকি থাকে। আমাদের ক্লেটন সিলভা এবং ফেলিসিও ব্রাউন ভালো ভালো সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, সেগুলো থেকে গোল পাইনি। হয়তো ওরা পরের ম্যাচের জন্য গোল বাঁচিয়ে রেখেছে। প্রতিপক্ষের তৈরি করা সুযোগগুলো আমরা ক্লিয়ার করে দিতে পেরেছি। এটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক।’
ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচ বৃহস্পতিবার, জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে। এই ম্যাচ জিততে পারলেই, সেরা ছয়ে ঢুকে পড়বে লাল-হলুদ। কিন্তু সেরা ছয়ে নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে গেলে ধারাবাহিকতাও বজায় রাখতে হবে লাল-তাদের। তাই এখন থেকেই পরের ম্যাচে ‘ফোকাস’ করতে চান স্প্যানিশ কোচ। কুয়াদ্রাত বলেন, ‘এখন প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। যারা প্লে অফে প্রায় পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তাদের ইতিমধ্যেই সাত-আটটা করে ম্যাচ জেতা হয়ে গিয়েছে। আমাদের মতো অনেক দলই রয়েছে, যাদের তিনটি করে জয় আছে। তাই এখন ছ’টা দলের মধ্যে দৌড় শুরু হয়েছে, যা বেশ কঠিন হতে চলেছে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।