বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় ফুটবলের মাথা উঁচু করলেন মনীষা কল্যাণ। ভারতের প্রথম ফুটবলার হিসাবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেললেন মনীষা। মহিলা তো বটেই,কোনও পুরুষ ফুটবলারেরও এই কৃতিত্ব নেই।২০ বছরের মনীষা ভারতের চতুর্থ মহিলা ফুটবলার যিনি বিদেশের ক্লাবে সই করলেন। ভারতে মহিলাদের লিগে গোকুলমের হয়ে খেলার পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়েও নজর কেড়েছেন মনীষা কল্যাণ। গোকুলমের দ্বিতীয় মহিলা ফুটবলার হিসেবে তিনি বিদেশের ক্লাবে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এর আগে গ্রেস ডেঙ্গমেই উজবেকিস্তানের এফসি নাসাফে সই করেছেন।
এদিনের ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মনীষা জানান, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল। তাই যখন আমি খেলার সুযোগ পেলাম, আমি খুব গর্বিত বোধ করেছি। আমি যদি আরেকটি সুযোগ পাই, আমি আবার চেষ্টা করব এবং আমার সেরাটা দেব।’
মনীষা কল্যাণ বলেছিলেন যে তিনি প্রায় ৪৫ দিন ধরে সাইপ্রাসে রয়েছেন এবং দলটি একটি ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৫ দল এবং একটি সিনিয়র মহিলা দলের বিরুদ্ধে খেলে এই প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘যোগাযোগ এখন অনেক সহজ। আমি যে হোটেলে থাকি সেখানে চমৎকার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তাই সবকিছুই ভালো।’
পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ২০০১ সালের ২৭ নভেম্বরে জন্ম মনীষা কল্যাণের। ২০২১-২২ মরশুমে এআইএফএফের বিচারে বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার আগে ২০২০-২১ মরশুমে বর্ষসেরা ইমার্জিং মহিলা ফুটবলারের পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম মহিলা ফুটবলার হিসেবে গোল করার নজিরটিও রয়েছে তাঁর। ১৩ বছর বয়স থেকে শুরু করেন ফুটবল খেলা।
আরও পড়ুন… AIFF Elections: মাঠের পর বাইরে লড়াই- বাইচুং হতে চান AIFF প্রেসিডেন্ট, সামনে কল্যাণ চৌবে
মনীষা কল্যাণ ২০২১-২২ মরশুমে এআইএফএফের বিচারে বর্ষসেরা মহিলা ফুটবলার হয়েছিলেন। ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগে গোকুলামের হয়ে ২০১৯-২০ মরশুমে দারুণ ফুটবল খেলার সুবাদে মনীষা জাতীয় দলের শিবিরে ডাক পান ২০১৯ সালে। তাঁর নেতৃত্বে গোকুলাম ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগ খেতাব জেতে,টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কারও পেয়েছিলেন মনীষা কল্যাণ। ব্রিকস কাপে ভারতের মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৭ দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন মনীষা।
আরও পড়ুন… AFC Cup খেলতে ATK MB-র ভরসা কেন্দ্র, ফিফার কাছে গেল অনুরোধ
এদিন উয়েফা মহিলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাপোলন লেডিজ এফসির ম্যাচ ছিল লাটভিয়ার প্রথম সারির ক্লাব এসএফকে রিগার বিরুদ্ধে। অ্যাপোলন ম্যাচ জেতে ৩-০ গোলে। এই ম্যাচেই ৬০ মিনিটের মাথায় সাইপ্রাসের মারিলেনা জির্জিউয়ের পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন মনীষা। সেই সময়ে রচিত হয়েছে নতুন ইতিহাস। এর আগে কোনও ভারতীয় উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মাঠে নামার সুযোগ পাননি। এদিনের ম্যাচে মনীষা কল্যাণ ৬০ মিনিটে মাঠে নামার পর বাকি ৩০ মিনিট খেলেন। দলের হয়ে চারটি কর্নার কিক মারেন ১২ নম্বর জার্সিধারী মনীষা কল্যাণ। অ্যাপোলনের পরবর্তী ম্যাচ রয়েছে ২১ অগস্ট এফসি জুরিখ ফ্রয়েনের বিরুদ্ধে। তিনি প্রথম ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতীয় দলের গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।