ইরানের ফুটবলারদের প্রতিবাদের মঞ্চ হয়ে উঠল বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের আগে জাতীয় সংগীত গাইলেন না ইরানের ফুটবলাররা। নিজেদের দেশের সরকার-বিরোধী (হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে) যে প্রতিবাদ চলছে, তার সমর্থনেই সেই সিদ্ধান্ত নেন আলিরেজা বেইরানবন্দ, সাদগে মহারামিরা।
সোমবার মধ্য দোহার পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নামার আগে ইরানের অধিনায়ক আলিরেজা জাহানবখস জানিয়েছিলেন, দেশের সরকার-বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে জাতীয় সংগীত গাইবেন গাইবেন না, সে বিষয়ে দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই পথেই হাঁটা হবে।
সেইমতো আজ কিক-অফের আগে চিরাচরিত মতো দোহার খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে যখন ইরানের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়, তখন ইরানের ফুটবলারদের চোয়ালচাপা মুখ ধরা পড়ে। জাতীয় সংগীতে গলা মেলাননি তাঁরা। কার্লোস কুইরোজের ছেলেরা চুপ করে একে অপরের কাঁধ ধরে দাঁড়িয়েছিলেন। যে দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে প্রতিবাদের বার্তাও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
কী কারণে প্রতিবাদে সামিল হন ইরানের ফুটবলাররা?
গত ১৬ সেপ্টেম্বর মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছে ইরান। ইসলামিক দেশের পোশাকবিধি ভঙ্গের অভিযোগে তেহরান থেকে গ্রেফতারির তিনদিন পরেই মৃত্যু হয় ২২ বছরের কুর্দিশ মেয়ে আমিনির। যে দেশে মহিলাদের বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরতে হয়। তারপরই হিজাব-বিরোধী প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ইরান। সেই আন্দোলনের সমর্থনে ইরানের অ্যাথলিটরা জয় উদযাপন করেননি। অনেকে জাতীয় সংগীতও গাননি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।