বৃহস্পতিবার জামশেদপুরকে ৩-০ গোলে হারাল এফসি গোয়া। ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে এই জয়। নিশ্চিতভাবে উৎসাহিত হয়েছেন গোয়ার খেলোয়াড় এবং সমর্থকেরা।
খেলার প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই গোল করেন আইকার গুয়ারটসেনা এবং নোয়া ওয়েল সাদৌ। খেলার ৯৩ মিনিটে ব্রিশন ফার্নান্দেজ একটি গোল করেন।
বৃহস্পতিবার দুই দলই প্রথম একাদশে সামান্য বদল আনে। গোয়া তাদের গোলরক্ষক ধীরাজ সিংকে গোলে ফিরিয়ে আনে। অন্যদিকে ডিফেন্সে মার্ক হার্নান্দেজের বদলে মাঠে নামে মহম্মদ ফারেজ আর্নাউট।
জামশেদপুর তাদের ডিফেন্সে প্রতীক চৌধুরীর বদলে এলি সাবিয়াকে খেলায়। মিডফিল্ডে হ্যারি সাওয়েরের বদলে জিতেন্দ্র সিং। জামশেদপুর নিজেদের ফর্মেশন বদলে এদিন ৪-২-৪-১-তে খেলে।
খেলা শুরুর ২ মিনিটের মাথায় খেলায় ছন্দ আনে গুয়ারটসেনার গোল। কর্নার থেকে ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেজের একটা ছোটো পাশে বলটা পৌঁছায় এডু বেইতিয়ার কাছে। সেখান থেকে বেইতিয়ার ক্রসটা রিডেম ল্যাং একটুর জন্য মিস করলেও গুয়ারটসেনার সামান্য ট্যাপে বলটি জালে জড়ায়। জামশেদপুর সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই দ্বিতীয় গোল করে গোয়া। মাঝমাঠ থেকে ব্র্যান্ডনের পাস যায় সাদৌয়ের পায়ে। সাদৌ বাঁ পায়ের একটা জোরালো শটে গোয়াকে দুই গোলে এগিয়ে দেয়। প্রথমার্ধের শেষের দিকে ওয়েলিংটন প্রাওরি গোল লক্ষ্য করে একটি শট নেন। তবে ধীরাজের পোক্ত হাতে সে শট ধরা পড়ে যায়।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময় এমনই একটি অসাধারণ ক্রস করেন তিনি। যা টিয়াঙের হেড থেকে জামশেদপুরের গোলকিপার রেহেনেশের হাতে লেগে পোস্টের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে জামশেদপুরে হেড কোচ এইডি বুথরয়েড খেলার ফর্মেশন পাল্টে ৪-৪-২ তে খেলতে শুরু করেন। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে গোয়ার ছন্দ টিকিয়ে রাখেন সাদৌ। জামশেদপুরের রক্ষণভাগের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে ওঠেন এই সাদৌ। তারইমধ্যে ম্যাচের শেষ লগ্নে তাদের তৃতীয় গোলটি করে গোয়া। সাভিয়ার গামা বল এগিয়ে দেন ব্রিসনের দিকে। মাঠে নামার পাঁচ মিনিটের মাথায় ব্রিসন সেই বল নিয়ে এগিয়ে যান এবং ৯৩ মিনিটে একটা জোরে শটে রেহেনেশের পাশ দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।