শুভব্রত মুখার্জি:- মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। ভারতকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার পিছনে তাঁর অবদান অপরিসীম।গোটা একটা দেশ, গোটা একটা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল তাঁর। আর এই কারণেই তাঁকে জাতির জনকও বলা হয়। তবে ইতিহাসে কোনও দিন তিনি ফুটবল খেলেছেন কিনা তার কোনও উল্লেখ কোথাও নেই। সেই মহাত্মা গান্ধীই নাকি এবার ফুটবল খেলছেন! হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন। এমন ঘটনাই ঘটেছে ব্রাজিলে। যেখানে মাঠে ফুটবল খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আসুন এবার ঘটনাটি একটু খুলে বলা যাক। ব্রাজিলের খেলা এক মিডফিল্ডারের নাম মহাত্মা গান্ধী! পুরো নাম মহাত্মা গান্ধী হেবেরপিও মাত্তোস পিরেস! ৩১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ইতিমধ্যেই শিরোনামে চলে এসেছেন তাঁর নামের এই অদ্ভুত মিলের কারণে। বর্তমানে তিনি খেলছেন ব্রাজিলের ক্লাব অ্যাটলেটিকো ক্লুব গোইন ইয়েন্সের হয়ে। ক্লাবের হয়ে এক দশকের ও বেশি সময় খেলছেন তিনি। টানা ১২ বছর ক্লাবের হয়ে খেলছেন তিনি। ২০১১ সাল থেকেই এই ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। প্রসঙ্গত ওই বছরেই আবার ভারতীয় পুরুষ সিনিয়র ক্রিকেট দল ওডিআই বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় ট্রফি জিতেছিল।
প্রসঙ্গত, ফুটবলার মহাত্মা গান্ধীর জন্ম ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ ত্রিনিদদ এবং টোবাগোতে। একটা বিষয় স্পষ্ট মহাত্মা গান্ধী যে ভারতীয়দের শুধু তাঁর কর্মকাণ্ড দিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তা নয়। তাঁর কর্মকান্ডে গোটা বিশ্ব জুড়েই অনুপ্রেরণা পেয়েছিল একাধিক মানুষ। ঠিক যেমনটি হয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ম্যাত্তোসের বাবাও। মহাত্মা গান্ধী ১৮৯৩ সাল থেকে ১৯১৫ সালের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও তিনটি ফুটবল ক্লাব চালুর পিছনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। এই ফুটবল ক্লাবগুলি রয়েছে জোহানেসবার্গ, ডারবান এবং প্রিটোরিয়াতে। এআইএফএফের নথি অনুযায়ী ১৮৯৬ সালে ট্রান্সভাল ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।