নাগাড়ে কর্ণার, ফ্রি কিক মেরে চলেছিলেন হুগো বৌমাস, লেনি রডরিগেস, ডেভিড উইলিয়ামসরা। সেই ফ্রি-কিকেও না জানি কত বৈচিত্র্য। একটার সঙ্গে অন্যটার মিল নেই। টেনিস বলে অনুশীলন করছিলেন অমরিন্দর সিংহ, অভিলাশ পালরা। গোলকিপারদের আরও বেশি নিখুঁত ভাবে গড়ে তুলতেই এই অনুশীলন।
এর সঙ্গেই শরীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর অনুশীলন চলছে। তবে এক এক দিন এক এক রকম অনুশীলন করছে অন্তোনিও লোপেজ হাবাস ব্রিগেড। নানা রকম যন্ত্রাংশ নিয়ে প্রতিদিন নিজের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পরিশ্রম করছেন তিরি, কার্ল, প্রীতম কোটাল, মনবীর সিংরা। এগুলোই এটিকে মোহনবাগানের অনুশীলনের টুকরো টুকরো কোলাজ।
১৯ নভেম্বর ইন্ডিয়ান সুপার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচ কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। গোয়ার বেনোলিনের মাঠে চলছে তারই শেষ পর্বের প্রস্তুতি। গতবারের মতোই দক্ষিণের ক্লাবকে হারিয়ে শুরুটা ভাল করতে চায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড। গত বছর ছয় গোল করা এবং পাঁচটি গোলের পাস বাড়ানো মনবীর সিংহের গলায় তারই রেশ। বলছিলেন, ‘গতবার অল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। এ বার সেটা হতেই হবে। এবং সে জন্য শুরুটা ভাল করা দরকার। কেরল এবং ডার্বি জিততে পারলে দেখবেন, গত বারের মতোই গতি পেয়ে যাবে দল। আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য, গত বারের পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে যাওয়া। আরও বেশি গোল করা। গোলের জন্য সাহায্য করা।’
বরাবরই হাবাস বুঝতে দেন না কাদের প্রথম একাদশে রাখবেন তিনি, সব ফুটবলারের দিকেই তার সমান নজর। আসলে স্প্যানিশ কোচের আসল মন্ত্র টিম গেম। আর সেটাই দারুণ ভাবে টানছে দলের প্রতিশ্রুতিমান ডিফেন্ডার দীপক টাংরিকে। সবুজ মেরুন জার্সিতে জুনিয়র দলে খেলছেন। এ বার সুযোগ পেয়েছেন সিনিয়র দলে। তিরি, প্রীতমদের সঙ্গে রক্ষণ সংগঠনে দীপককেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন হাবাস। দীপক বলছিলেন, ‘অনুশীলন দারুণ ভাবে উপভোগ করছি। প্রত্যেক কোচেরই আলাদা দর্শন থাকে। হাবাস স্যারের সব থেকে যেটা ভাল লাগছে, তা হল আমি জুনিয়র হলেও সমান ভাবে আমার নানা মুভ বা ভুল শুধরে দিচ্ছেন। রয় কৃষ্ণ, হুগো, কাউকো, প্রীতমদা, শুভাশিসদার মতো নামী ফুটবলারের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাচ্ছি, এটা আমার স্বপ্ন ছিল। নিজেকে ওদের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে দলে ঢোকাটাই চ্যালেঞ্জ।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।