শনিবার ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার কাছে ১-৪ হেরেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এদিনের ম্যাচের হারের কারণ গুলোকে ব্যাখ্যা করলেন বাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আইএসএলে ঘরের মাঠে এটিই ছিল মোহনবাগানের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। এই হতাশাজনক হারের পরে ফেরান্দো বলেন, ‘মুম্বইয়ের ম্যাচে কী হয়েছে আপনারা দেখেছেন। একাধিক লাল কার্ড। তার ওপর আমাদের একাধিক খেলোয়াড়ের চোট। শনিবারের ম্যাচে যারা প্রথম এগারোয় খেলেছিল, তারাও সকলে পুরো ফিট ছিলেন না। তা সত্ত্বেও তারা সর্বশক্তি দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছে। শেষে ২৫ মিনিট আমাদের দশ জনে খেলতে হয়েছে। এই ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য আমাদের হাতে সময়ও ছিল না। এই কারণে আমাদের এমন পারফরম্যান্স হয়েছে। তবে এগুলো অজুহাত নয়। বাস্তবটা মেনে নিতেই হবে এবং সামনের দিকে তাকাতেও হবে। গোয়া ম্যাচে আমরা যাদের হাতে পেয়েছি, তাদের খেলাতে বাধ্য হয়েছি। এর চেয়ে ভালো আর কিছু করা বোধহয় সম্ভব ছিল না।’
দলের রক্ষণ নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তবে এই নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন নন মোহনবাগানের কোচ। তাঁর বিশ্বাস, দল আবার সেরা ছন্দে ফিরবে। ফেরান্দো বলেন, ‘এখন আমাদের দলের অবস্থা ভালো নয় বলে ডিফেন্স নিয়ে এত প্রশ্ন উঠছে। যখন সবাই ফিট হয়ে আবার মাঠে নামবে, তখন আমরা সেরা পারফরম্যান্স দেখাব। এখন এত সমস্যা দলের মধ্যে। তাই সেরাটা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আগে কী হয়েছে, সে সব নিয়ে এখন ভাবতে বসলে চলবে না। এখন আমাদের পরিকল্পনা তৈরি করতে বসতে হবে এবং খেলোয়াড়দের কত দ্রুত তরতাজা করে তোলা যায়, সেটাই বেশি ভাবতে হবে। আশা করি, দলের ছেলেরা আবার খেলার জন্য তৈরি হয়ে যাবে। সমস্যার সন্মুখীন হতে হবে, তার সমাধান করতে হবে। গত দশদিনে আমরা আটজন খেলোয়াড়কে হারিয়েছি। গত কয়েক দিনে কী কী হয়েছে, সবাই জানেন।’
এদিনের ম্যাচের শুরুর দিকেই পেনাল্টি পেয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন নোয়া সাদাউই। এই গোলের পরেই তাঁর দলের কাজ আরও কঠিন হয়ে পড়ে বলে মনে করেন ফেরান্দো। তিনি বলেন, ‘এত তাড়াতাড়ি ওরা পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ পেয়ে গেল! ওই সময় গোল খেয়ে গেলে, তাও আবার পেনাল্টি থেকে, পরিস্থিতি খুবই কঠিন হয়ে যায়। দলের অনেকেই আজ যে ভূমিকা পালন করেছে, তা প্রথমবারের জন্যই করেছে। তার ওপর যথেষ্ট চাপ সামলাতে হয়েছে। এই অবস্থায় খেলোয়াড়দের পাশে থাকাটা বেশি জরুরি। কৌশল, পরিকল্পনা এ সব নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। এখন খেলোয়াড়দের কঠিন মানসিক শক্তিই বেশি প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করে যেতে হবে সামনের দিকে তাকিয়ে। এখন মানসিকতা বদলে পরের ম্যাচের প্রস্তুতিতে মন দেওয়া দরকার। কবে আমাদের খেলোয়াড়রা সবাই চোট সারিয়ে ফিরে আসবে আমি জানি না। এই ধরনের গুরুতর চোট সারিয়ে দ্রুত ফিরে আসা মোটেই সোজা নয়। ওদের সময় দিতেই হবে।’ দর্শকদের উদ্দেশ্যে ফেরান্দো বলেন, ‘সমর্থকদের ক্ষোভ খুবই স্বাভাবিক। তবে ওদের চেয়েও বেশি হতাশ আমি। আমার বিদায় চেয়ে অনেকেই চিৎকার করতে পারেন। আমি তাদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমি এখানে কাজ করতে এসেছি, কাজ করে যাব। সমর্থকেরা পাশে থাকবেন, এটাই চাই আমি। পরের ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।